সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রিন হাউস পদ্ধতিতে ফ্ল্যাটের মধ্যেই গাঁজা চাষ!

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ১২:০১ অপরাহ্ন, ৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ফ্ল্যাটের মধ্যে গাঁজা চাষ। অনেকেই বলতে পারেন যে, গাছপ্রেমী ব্যক্তি ঘরের মধ্যে গাছ লাগালে সমস্যা কোথায়? তবে অবাক করা বিষয় হলো ফ্ল্যাটকে পুরোপুরি বাগান করে তোলা হয়েছে যে গাছ দিয়ে সেটি আর কিছু নয়, গাঁজার গাছ।

আর সেই খবর পেয়েই ভারতের গুজরাটের আমদাবাদের বোপাল এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। ফ্ল্যাটে ঢুকতেই তারা চমকে ওঠে। বেশ কিছু পাত্রে থরে থরে সাজানো গাঁজা। শুধু তাই-ই নয়, তল্লাশি চালিয়ে ওই ফ্ল্যাট থেকে ৯৬টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়েছে।  

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, একটি অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাটের মধ্যে গাঁজার চাষ এবং সেই গাঁজার ব্যবসা চলছিল তা প্রতিবেশীরাও টের পাননি? এক প্রতিবেশীর দাবি, তিন যুবক কারও সঙ্গেই তেমন মেলামেশা করতেন না। কেউ তাঁদের বিষয়ে খুব একটা আগ্রহও দেখাতেন না। ফলে ফ্ল্যাটের ভিতর যে এত বড় একটা মাদকের ‘কারখানা’ চলছিল তা আঁচ করতে পারেননি কেউ। ১৬তলার ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে রবি প্রকাশ, বীরেন প্রভাত এবং রিতিকা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা সকলেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে। তারা ঘরে টবের মধ্যেই গাঁজার চাষ করছিলেন। শুধু তাই-ই নয়, অত্যন্ত উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে সেই চাষ করা হচ্ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক চেন্নাই থেকে নিয়ে আসতেন। সেই রাসায়নিক গাঁজা গাছ দ্রুত বড় করার জন্য ব্যবহার করা হত। গ্রিনহাউস বানিয়ে চলছিল গাঁজার চাষ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, যে গাঁজা উদ্ধার হয়েছে, তা উন্নত মানের। বিদেশে এই ধরনের গাঁজার চাষ হয়। এই তিন জনের সঙ্গে কোনও বিদেশি মাদকপাচার চক্রের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোথায় কোথায় গাঁজা সরবরাহ করা হত, কারা সেই গাঁজা কিনতেন, তাও জানাক চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার হয়েছে।

আর.এইচ/ওআ

গাজা

খবরটি শেয়ার করুন