ছবি: সংগৃহীত
সকলের নজর চাঁদে! আইএসআরও চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর এক মাসেরও কম সময়ে চাঁদে 'লুনা ২৫'-কে পাঠিয়েছে রাশিয়া। দুটি মহাকাশযানই ২৩ অগাস্ট অর্থাৎ একই দিনে, একই জায়গায়-চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে চলেছে।
এদিকে চাঁদকে আরও কাছ থেকে চেনার চেষ্টায় একের পর এক দেশ মুন মিশন করছে। ভারত রাশিয়ার পর চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিতে চলেছে জাপানের চন্দ্রযান। জাপানিজ এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি আগামী ২৬ অগাস্ট চাঁদে পাঠাতে চলেছে সেই দেশের মহাকাশযান।
এদিকে জাপানের পরেই এবার মুন মিশনে মনোনিবেশ করতে চলেছে নাসা। এবার চাঁদে জল রয়েছে কিনা, আর থাকলেও তা কী অবস্থায় রয়েছে, এবার তা পরীক্ষা করতে উদ্যোগী এই গবেষণা সংস্থা।
নাসার খুদে স্যাটেলাইট লুনার ট্রেইলব্লেজার চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের বণ্টন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে চলেছে। এছাড়াও ভূতত্ত্বের সঙ্গে এর সম্পর্ক পরীক্ষা করাও এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য। আগামী নভেম্বর মাসে মিশনটি শুরু হবে।
কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে নাসা। চাঁদে কি কোনও কারণে জল রয়েছে? তা বোঝার জন্য গত বছরই এই মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই নাসার 'হাই রেজলিউশন ভোলাটাইলস অ্যান্ড মিনারেল মুন ম্যাপার' নামক একটি যন্ত্র তৈরি করেছে।
এই যন্ত্রটি চাঁদে কোথায় জল রয়েছে তার স্থান, অবস্থা, সময়ের সঙ্গে অবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি খতিয়ে দেখবে। এই উদ্যোগ সফল হলে আগামীদিনে চাঁদে নভশ্চর পাঠানো সহজ হবে। কারণ জল তাঁরা সেখান থেকেই সংগ্রহ করতে পারেন।
নাসার এই স্বপ্নের মিশনের জন্য বিপুল টাকা খরচ হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই মুন মিশনের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল ইতিমধ্যেই তা ৩০ শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছে।
আরো পড়ুন: আইফোন থেকে স্যাটেলাইটে বার্তা পাঠিয়ে দাবানল থেকে রক্ষা পেল পরিবার
এই প্রসঙ্গে নাসার ডিরেক্টর লরি গলাজি বলেন, "এই মহাকাশযান তৈরির জন্য খরচ সামান্য বেড়েছে। আমরা তাই বাজেটের বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।" ডিজাইনসহ বিভিন্ন কারণে বেড়েছে এই বাজেট জানানো হয়েছে এমনটাই। এই মিশনের বর্তমান নির্ধারিত খরচ ৭২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫৯৭ কোটি।
চাঁদে জল রয়েছে কিনা তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানার আগ্রহ মানুষের দীর্ঘদিনের। স্বাভাবিকভাবেই এই মিশন কার্যকর হলে সেই সম্পর্কিত একাধিক নয়া তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন গবেষকদের একাংশ।
এসি/ আই. কে. জে/