ফাইল ছবি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে করের হার দ্বিগুণ বাড়ানোর পর জমি নিবন্ধনের উৎসে কর কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রাতে জারি করা এনবিআর কর নীতির সদস্য ড. সামস উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন জমিকে পাঁচটি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করেছে এনবিআর। বাণিজ্যিক (সাধারণ), আবাসিক (সাধারণ), বাণিজ্যিক (রিয়েল এস্টেট) এবং আবাসিক (রিয়েল এস্টেট) এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অন্যান্য জমি।
এর আগে জমির শুধুমাত্র দুটি শ্রেণি ছিল- বাণিজ্যিক এবং আবাসিক।
গুলশান, বনানী, মতিঝিল, এবং তেজগাঁও থানার অধীনস্থ সকল মৌজায় সাধারণ-বাণিজ্যিক প্লট এবং রিয়েল এস্টেট-ডেভেলপড বাণিজ্যিক প্লটের জন্য সর্বোচ্চ উৎসে কর এখন হবে ১৫ লাখ টাকা; যা আগে ছিল ২০ লাখ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেট হবে ৬ লাখ টাকা বা রাজধানীর একই এলাকায় সাধারণ-আবাসিক প্লট এবং রিয়েল এস্টেট-ডেভেলপড আবাসিক প্লটের দলিল মূল্যের ৮%।
এছাড়া সর্বনিম্ন রেট হবে ৫ লাখ টাকা বা একই এলাকার মধ্যে অন্যান্য জমির দলিল মূল্যের ৮%।
তবে অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে একই করের হার ৬% থাকবে। জেলা শহরের বাইরে পৌরসভার জন্য ৪% এবং পৌরসভার বাইরের সকল মৌজার জন্য ২% উৎসে কর আরোপ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: প্রতিপিস ডিম মাত্র ৫ টাকা, যেখানে পাবেন
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আরও দক্ষ প্রগতিশীল কর কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য নতুনভাবে জমি শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জমির ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুই পক্ষই নতুন এ ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হবেন। এতে শুধুমাত্র করই কমবে তা নয়, বরং আবাসিক জমি ক্রয়-বিক্রয়ের খরচও কমবে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন