প্রিয় সঞ্জু,
প্রথমেই জানাই তোর প্রিয় কাঠগোলাপের শুভেচ্ছা। তুই সবসময় বলিস আমি ভালো থাকলে তুই ভালো থাকিস। আলহামদুলিল্লাহ! আমি ভালো আছি। তাই ধরে নিচ্ছি তুইও ভালো আছিস।
যদিও চিঠির যুগে আমাদের জন্ম নয়। তবুও চিঠির প্রতি ভালোবাসা প্রতিটা বাঙালির বুকে, রক্তে মিশে আছে। চিঠি লিখার যে আনন্দ এবং উত্তরের জন্য মধুর অপেক্ষার অনুভূতিটা অব্যক্ত। এটা তুইও জানিস, আমিও জানি। কারণ আমাদের জমানো কথা, আর অনুভূতিগুলো লিখেই প্রকাশ করি সবসময়। আজও লিখে জানাচ্ছি মনের কথা। জানি, তুই এই চিঠিটা একবার নয় অনেকবার পড়বি।
তোকে বড্ড বেশি মনে পড়ছে তাই লিখতে বসলাম। তোর থেকে দূরে আসার পর, সবসময় এটাই অনূভব করি- খেয়াল রাখার একজন প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলেছি।
জানিস, বৃষ্টি হলে তোকে আরও বেশি মনে পড়ে। সেই স্কুল জীবনে বৃষ্টির দিনের কথাগুলো মনে পড়ে। স্কুল শেষে ছাতা ব্যাগে রেখে হাত ধরে ভিজতে ভিজতে বাড়ি আসতাম। আর আমিতো কখনো স্কুলে টিফিনই নিতাম না। তুইতো ছিলি আমার সকল ইচ্ছে পূরণের খেয়াল রাখার জন্য। জানি সেই দিনগুলো আর ফিরে আসবে না, কিন্তু তুই আর আমি সেই আগেরই আছি।
বদলাইনি আজো, স্মৃতিগুলোও জীবিত। খুব ইচ্ছে করে আর একবার যদি দেখা হতো! একটু সময় নিয়ে মন খুলে গল্প করার সুযোগ হতো! তুইতো আমার খুশির জন্য সব করিস। এই আবদারটা কি রাখা যায় না আমার জন্য?
তোর ব্যস্ত জীবনে আমায় কতটুকু মনে পড়ে? তোর কি আমার মতো একটা দীর্ঘ সাক্ষাতের ইচ্ছে করে? জানাবি কিন্তু, উত্তরের অপেক্ষায় থাকবো।
-----ইতি
তোর (সুইটহার্ট) বেস্টু
তাহসিনা
আরও পড়ুন : আমি কিছুতেই আগের স্পর্শকে মনে করতে পারছি না
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন