শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জীবন বাজি’ রেখে হরতাল পালনের আহ্বান রিজভীর

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২৫ অপরাহ্ন, ২৯শে নভেম্বর ২০২৩

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

বিএনপি ও সমমনা দলগুলো জীবন বাজি রেখে সরকারবিরোধী কর্মসূচি পালন করছে এমনটা দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার (৩০শে নভেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ‘জীবন বাজি’ রেখে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই আহ্বান জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দুর্জয় গতিতে জীবন বাজি রেখে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিগুলো পালন করছে। বৃহস্পতিবারও নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে, সর্বান্তকরণে সার্বিকভাবে সর্বাত্মক এই হরতাল কর্মসূচি পালন করবে।

রিজভী বলেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চলমান কর্মসূচি সংলাপহীন সত্যের অবমাননার প্রতিবাদে, সমাজে দূর্বিনীত বর্গীরাই এখন পরম অতিথি… এদের বিরুদ্ধে এবং পদলেহীদের দেশ নিলামের প্রতিবাদে, জমাট বাঁধা কান্নার পাহাড় থামাতে, বিভেদের বিভীষিকা দূরীভূত করতে, চোখ বাঁধা মানুষের দীর্ঘ সারি প্রসারিত করতে না দিয়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে, আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিসার জন্য বিদেশে প্রেরণ এবং বিএনপি মহাসচিবসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এই হরতাল কর্মসূচি সফল করতে সকলে এগিয়ে আসুন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিলে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়। একই দাবিতে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই হরতালের কর্মসূচি শুরু হবে।

রিজভী বলেন, দেশে চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মাতম আর মর্সিয়া। কান্না-আহজারির প্রতিদিনের ঘটনার বর্ণনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এক কঠিন সময় পার করছেন। অনেকটা দেশছাড়া উদ্বাস্তুর মতো, সহায়-সম্বলহীন নিঃস্ব তারা। বিএনপির নেতাকর্মীদের যেন মানবাধিকার থাকতে নেই। সংবিধানে যতটুকু মানবাধিকার আছে সেই অধিকার প্রয়োগেরও অধিকার নেই তাদের। হত্যা, লুণ্ঠন ও বন্দী হওয়াই যেন তাদের ভাগ্যের লিখন।

আরো পপড়ুন: দিল্লিতে কূটনীতিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠক বিস্ময়কর: রিজভী

বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র বলতেই এখন শুধু শেখ হাসিনা আর আওয়ামী লীগের। শেখ হাসিনার নীতিই যেন, ‘হয় আমাকে সমর্থন করো না হলে নিশ্চুপ থাকো’। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর উগ্র প্রচারের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতে পারবে না। লুণ্ঠন আর হত্যা যেন কোনো অমানবিক কাজ নয় ক্ষমতাসীনদের কাছে। শেখ হাসিনা লেলিয়ে দিয়েছেন তার পেটোয়া বাহিনীকে, যারা মনে করে লুটপাট, সহিংসতা ও হত্যা যেন তাদের দলীয় কর্তব্য। যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে সহিংস আক্রমণের দৃষ্টান্ত দেখিয়ে আসছে সে কারণেই তাদের ধনসম্পত্তি আর লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়াটা যেন প্রত্যক্ষ পারিতোষিক। অনাচার আর অপকর্মের সর্বোচ্চসীমা স্পর্শ করেছে আওয়ামী নাৎসীরা। তার তর্কাতীত ক্ষমতা ভোগ করার মনোভাব থেকে জন্ম নিয়েছে দুঃশাসনের বর্বর উপাদান।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮শে নভেম্বর) হাতিরঝিলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই ঘটনা এবং পুলিশের গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩৬৫ জনের অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং ১৪টি মামলায় এক হাজার ৫৩০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

এসকে/ 

বিএনপি রুহুল কবির রিজভী হরতাল

খবরটি শেয়ার করুন