ছবি: সংগৃহীত
ডিজিটাল ইউয়ানের প্রচারণার জন্য চীনা কর্মচারীদের বেতন সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল ইউয়ানে প্রদান করা হচ্ছে। জিয়াংসু প্রদেশের চাংশু শহর এই মাস থেকে সরকারি কর্মচারীদের ডিজিটাল ইউয়ানে বেতন প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে আঞ্চলিক ঋণদাতারাও এ পদ্ধতিরই অনুসরণ করেন।
দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরেই ডিজিটাল ইউয়ানের প্রচার-প্রচারণা চালানোর সত্ত্বেও চলমান অর্থব্যবস্থার প্রতিযোগিতায় ডিজিটাল ইউয়ান টিকতে পারে নি। তাই অবশেষে সরকারি কর্মচারীদের ডিজিটাল ইউয়ানে বেতন প্রদানের মাধ্যমে চীন বৃহত্তর ভোক্তা বাজারে এর চাহিদা তৈরি করতে চাচ্ছে।
গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে, প্রায় ৪৯০০ জন কর্মচারীকে ডিজিটাল ইউয়ানের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা হয়েছে চাংশুতে। ২০১৮ সালে চাংশুর সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার জন। তাই এ অঞ্চলে ডিজিটাল ইউয়ানের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্চ মাসে, জিয়াংসু ব্যাংকের প্রধান ও শাখা কার্যালয়গুলোর কর্মচারীদের ডিজিটাল ইউয়ানের মাধ্যমে বেতন প্রদান করা হয়। নিংবো শহরেও ৫৫৭ জন সরকারি কর্মচারীদের ডিজিটাল ইউয়ানে বেতন প্রদান করা হয়েছে।
ডিজিটাল ইউয়ানে বেতন সরাসরি ডিজিটাল ওয়ালেটে এসে জমা হয়। সরকারি সংস্থা এবং ব্যাংকগুলোর কর্মচারীদের অর্থপ্রদানের জন্য শুধুমাত্র কর্মীদের নাম এবং সেলফোন নম্বর নিবন্ধন করতে হয়। এ পদ্ধতিতে খরচও কম হয়।
ডিজিটাল ইউয়ান পিপলস ব্যাংক অফ চায়না দ্বারা পরিচালিত। ২০১৪ সালে এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ২০২০ সালে সাধারণ জনগণদের অন্তর্ভুক্ত করে মাঠ পর্যায়ে এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। তবে ২০২২ সাল নাগাদ এ গবেষণা চীনের ১৫ টি প্রদেশের ২৩ টি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
ডিজিটাল ইউয়ান তহবিলের অবৈধ আন্তঃসীমান্ত স্থানান্তর এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
তবে এত সাফল্যের পরেও ২০২২ সালের শেষ নাগাদ মাত্র ১৩৬.১ কোটি ইউয়ান (১৯ কোটি মার্কিন ডলার) এর লেনদেন সম্পন্ন হয়, যা মোট ইউয়ানের মাত্র ০.১৩% ছিল।
জানুয়ারি মাসে, জিয়াংসু প্রদেশ সরকারি তহবিলের অর্থ, কর, সামাজিক বীমা সবকিছুই ডিজিটাল ইউয়ানে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।
আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন