ছবি: সংগৃহীত
ডিপফেকের চেয়েও ভয়ংকর ক্লিয়ারফেক হাজির হলো। যা ছবি ও ভিডিওকে বাস্তবকেও হার মানায়। খুব সহজে বলতে গেলে, ক্লিয়ারফেক হল ডিপফেকেরই একটা ধরন, যা মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এর দ্বারা ছবি বা ভিডিয়োগুলোকে এমনই ভাবে ম্যানিপুলেট বা জেনারেট করা হয়, যাতে সেটিকে একেবারেই বাস্তব বলে মনে হয়।
ইমেজ স্প্লাইসিং, ফেশিয়াল রিকগনিশন এবং ভয়েস সিন্থেসিসের মতো টেকনিক কাজে লাগিয়ে একটা ছবি বা ভিডিও ক্লিয়ারফেক করা হয়।
ম্যালওয়্যার বাইটসের রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত ম্যাক ব্যবহারকারীদেরই ক্লিয়ারফেক পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে এমএমওএস ম্যালওয়্যার পাঠানো হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ক্লিয়ারফেক প্রতারণা পদ্ধতিটি উইন্ডোজ় সিস্টেমে চালিয়েই সাইবার অ্যাটাক করা হত। মূলত, ভুয়া সাফারি এবং ক্রোম আপডেটের নামে এই প্রতারণা পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা হত। এমনই সব ওয়েবসাইটকে টার্গেট করা হত, যাদের সিস্টেমে কিছু গলদ রয়েছে এবং তাদের ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে প্রতারকরা ব্যবহারকারীদের লগইন ক্রেডেনশিয়াল, স্পর্শকাতর একাধিক তথ্য হাতানোর চেষ্টা করে।
সুরক্ষিত থাকতে কী করবেন
ডিপফেকের থেকেও ক্লিয়ারফেক আরো বড় প্রতারণা। এই পদ্ধতিতে একটা ছবি বা ভিডিওকে এতটাই বাস্তবসম্মত করা যায় যে, আসলের পাশে রাখার পরেও নকল বুঝতে যথেষ্ট সমস্যা হয়। তাই, সতর্ক থাকা জরুরি। সতর্ক থাকতে মাথায় রাখুন-
১. অবিশ্বস্ত, অজ্ঞাত এবং অযাচিত সোর্স থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড বন্ধ করুন। ম্যাক সিস্টেমের সেটিংস থেকে সরাসরি সাফারি আপডেট করুন বা ক্রোম অ্যাপ থেকে গুগল ক্রোম আপডেট করুন।
২. ম্যাকওএস গেটকিপার সুরক্ষা বাইপাস করার অনুরোধ এলেও সতর্কতা অবলম্বন করুন। যদি কোনো অ্যাপ্লিকেশন আপনাকে এই সুরক্ষাগুলো বাইপাস করার অনুরোধ করে, তাহলে রিপোর্ট করুন।
৩. ম্যাক অ্যাপ স্টোরের বাইরে থেকে অ্যাপ ডাউনলোড বন্ধ করুন। একান্ত যদি তা করতেও হয়, তাহলে কবে সেই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছিল, আদৌ বৈধ কি না, এই সব বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখুন।
৪. অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার আপ টু ডেট রেখে দিন।
এসকে/