রাজধানীর গেন্ডারিয়া স্টেশন থেকে শনিবার প্রথমবারের মতো রেলপথে পরীক্ষামূলক একটি রেল (ট্র্যাক কার) মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছায়। গেন্ডারিয়া থেকে ট্র্যাক কারটি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রওনা হয়।
পরীক্ষামূলক ট্র্যাক কারটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় আসতে পৌনে দুই ঘন্টা সময় লাগে। মাওয়ায় এক ঘন্টা যাত্রা বিরতির পরে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ভাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছাতে সময় লেগেছে আরো এক ঘন্টা।
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলামসহ দেশি-বিদেশী প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান- রাজধানীর গেন্ডারিয়া স্টেশন থেকে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী অতিক্রম করে পথে-পথে লাইন পর্যবেক্ষণ করে ট্র্যাক কারটি মাওয়ায় পৌঁছাতে সময় লাগে পৌনে দুই ঘণ্টা। পদ্মা সেতু রেলপথে এখন চলছে ফিনিশিং কাজ। মাস খানেক পর ঢাকা থেকে ভাঙ্গা যাত্রীবাহী রেল চালু হবে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারে রেল চালু হবে ২০২৪ সালে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসন বলেন, আমরা আজকে মূলত ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কী-কী কাজ বাকি আছে সেগুলো দেখার জন্য এসেছি। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন শেষ হয়েছে। এখন শুধুমাত্র কিছু ট্যাম্পিং,প্যাকিং, লেভেলিং এইকাজগুলো বাকি। তিনি বলেন, ঢাকা-থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতি প্রায় ৮৫ শতাংশ। এখানে আমাদের স্টেশনের কাজ কিছু বাকি আছে। সিগন্যালের কাজ শেষ হয়নি। আর ট্র্যাকের কিছু ট্যাম্পিংয়ের কাজ অসমাপ্ত আছে। আমরা রেল লাইন বসিয়ে ফেলেছি। কিন্তু লেভেলিং, এলাইনমেন্টসহ টুকিটাকি কাজ করতে আমদের আরও এক মাস সময় লাগবে।
আই.কে.জে/