সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাইওয়ানের যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২৭ অপরাহ্ন, ২৯শে এপ্রিল ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত।

তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র স্বশাসিত দ্বীপ দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ৪২ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের দুইটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত যন্ত্রাংশের জন্য প্রায় ৩২৩০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ থাকবে। তাছাড়া ২০২৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত বিমানের যন্ত্রাংশ সম্পর্কিত অপর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

তাইওয়ান আকাশসীমা সুরক্ষিত করতে এবং চীনা আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সামরিক চাপ বৃদ্ধি করেছে চীন।

গত ২১ এপ্রিল, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চীন আন্তর্জাতিক মহলে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হয়ে উঠেছে। তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে তারা মূলত আগুন নিয়ে খেলছে।

গত ১৫ এপ্রিল, পেন্টাগন থেকে ফাঁস হওয়া নথি থেকে জানা যায়, চীনের বিমানের বিরুদ্ধে লড়াই করার সক্ষমতা তাইওয়ানের নেই। তবে ১৬ এপ্রিল তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় যে, নথির তথ্যগুলো সত্য নয়।

সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ চাইনিজ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট রিসার্চ ফেলো ফিলিপ সন্ডার্স বলেন, তাইওয়ানের এয়ারফিল্ড এবং রাডার সবকিছুই চীনের স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের সীমার মধ্যে রয়েছে এবং এজন্যেই তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতোটা শক্তিশালী নয়।

ওয়াশিংটন, ডিসির ইয়র্কটাউন ইন্সটিটিউটের সিনিয়র ফেলো, হ্যারি হালেম ২০ এপ্রিল বলেন যে, ভৌগোলিক অবস্থানই তাইওয়ানের জন্য বিরাট একটি সমস্যা। ন্যাশনাল পলিসি ফাউন্ডেশনের গবেষক, চিয়েহ চুং বলেন, তাইওয়ানের বিভিন্ন দূরপাল্লার রাডারসহ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনও ভালোভাবে কাজ করছে এবং সমগ্র যৌথ বিমান প্রতিরক্ষার কার্যকারিতাও বেশ ভালো।

আরো পড়ুন: তাইওয়ানকে চীনের হাত থেকে রক্ষায় এগিয়ে এসেছে যুক্তরাজ্য

কিন্তু সমস্যা হলো তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে এমন দূরপাল্লার রাডারের বেশিরভাগই নির্দিষ্ট অবস্থানে রয়েছে। ফলে চীনের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর এই দূরপাল্লার রাডারের প্রভাব অনেকটাই কমে যাবে।

তাই বিমানবাহিনীর ক্ষেত্রে তাইওয়ানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে চীন। চীনের ৩,০০০ এরও বেশি সামরিক বিমান এবং প্রায় ৪ লাখ বিমান বাহিনীর সৈন্য রয়েছে। অন্যদিকে তাইওয়ানের মোট ৭০০ টিরও বেশি বিমান এবং ৩০ হাজারেরও বেশি বিমান বাহিনীর সৈন্য রয়েছে।

ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্সের সিনিয়র স্ট্র্যাটেজিস্ট এরিক চ্যান বলেন, মানববিহীন আকাশযান তাইওয়ানের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা তাইওয়ানকে সহযোগিতা না করলে আকাশপথে আধিপত্য হারানো তাইওয়ানের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

চ্যান বলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।

এমএইচডি/ আই. কে. জে/

তাইওয়ান যুদ্ধবিমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপণাস্ত্র

খবরটি শেয়ার করুন