বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ সংহত করতে ৪ দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক *** লিটন দাস জয় উৎসর্গ করলেন নিহতদের স্মরণে *** সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ বাংলাদেশের *** বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার *** বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

তুলা চাষে লাভবান গাইবান্ধার কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৭ অপরাহ্ন, ৩রা মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তুলা চাষ। একসময় বাংলাদেশের তুলার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি থাকলেও ব্রিটিশ শাসনামলে তা হারিয়ে যায়। তুলার কারণে বস্ত্র শিল্পে ঘাটতি পড়লে বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। তবে বর্তমানে দেশে আবার তুলা চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে কৃষকরা ব্যাপক আকারে তুলার চাষ করছেন। এছাড়াও এর চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা আগ্রহ নিয়ে এর চাষ করছেন।

জানা যায়, বর্তমানে তুলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল, যা বস্ত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি গ্রামের কৃষকরা ব্যাপকভাবে তুলার চাষ করছেন। তারা উচ্চ ফলনশীল পালী-১ জাতের তুলা চাষ করছেন। এছাড়াও কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল রূপালী, হোয়াইট গোল্ড, ডিএম, শুভ্র জাতের কার্পাস তুলার চাষ। এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি উর্বর হওয়ায় তুলার ফলনও বেশি পাচ্ছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনার তুলা খরচ কম ও লাভ বেশি। তাই কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। এখানকার উৎপাদিত তুলা স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।

তুলা চাষি জামিরুল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত তুলা চাষের সাথে যুক্ত আছি। এছাড়াও আগে আমি কলা, ভুট্টা, তামাক, পাট, নেপিয়ার ঘাস গমসহ অন্য ফসল চাষাবাদ করতাম। বর্তমানে আমার ৭৩ শতাংশ জমিতে তুলার চাষ করতেছি। বিঘাপ্রতি জমিতে ৩৯০০-৪০০০টি তুলা গাছ রয়েছে। উন্নত জাতের তুলা হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন পেয়েছি। বিঘায় ১৮-২০ মণ তুলা উৎপাদন হয়েছে। আর বর্তমান বাজার মূল্য প্রতিমণ ৩৮০০ টাকা।

আরো পড়ুন:বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ চাষে ফলন দেড়-দুই গুণ বেশি

একই গ্রামের আরেক চাষি আব্দুল জব্বার বলেন, তুলা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। আমি ৪-৫ বছর যাবত এর চাষ করে আসছি। বস্ত্র শিল্পে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। সারাবছর এর চাহিদার কোনো ঘাটতি থাকে না। তুলা দিয়ে আমাদের দেশে বালিশ, লেপ, পুতুল, সুতাসহ অনেক কিছু তৈরি হয়। এছাড়াও এর সুতা বিদেশেও রপ্তানি হয়। আমি তুলা চাষে লাভবান হতে পারছি।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, চলতি বছর গাইবান্ধা জেলায় ১৯ হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের তুলনায় এখন তুলা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকরাও কম খরচে বেশি ফলন ও বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন।

এম/


 

Important Urgent

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন