সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয়বারের মতো ভারতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে কেলভিন চলচ্চিত্র ফেস্টিভ্যাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:২৭ অপরাহ্ন, ২৯শে মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কেলভিন চলচ্চিত্র ফেস্টিভ্যাল দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৯ থেকে ১১ নভেম্বর। ২০১৯ সালে এ ফেস্টিভ্যাল প্রথবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। মেঘালয় এবং উত্তর পূর্ব ভারতের সিনেমা জগতে বিরাট অবদান রাখে অনুষ্ঠানটি।

ফ্রেটার্নিটি আর্ট সিনে এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে গত শুক্রবার আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে চলচ্চিত্র নির্মাতারা এ উৎসবের ঘোষণা দেন।

আগুনে পুড়ে যাওয়া শিলং শহরের এক বিখ্যাত সিনেমা হলের নাম অনুসারেই রাখা হয় এই ফেস্টিভ্যালের নাম।

১৯২৬ সালে (রায় বাহাদুর) জীবন রায় গোয়েনকা কেলভিন সিনেমা হলটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল শিলংয়ের প্রথম সিনেমা হল। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নবরূপে প্রতিষ্ঠিত হয় সিনেমা হলটি।

জীবন রায় গোয়েনকার ছেলে শংকর লাল গোয়েনকা বাবার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে জীবন রাম মুঙ্গি দেবী গোয়েনকা পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, ফ্র‍্যাটারনিটি আর্ট সিনে এন্টারটেইনমেন্ট শিলং (ফেইসেস), মেঘালয় সরকারের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আর্টস এন্ড কালচার ডিপার্টমেন্ট, নেপালের কাঠমুন্ডুর ডকস্কুলের সহযোগিতায় এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেন।

২০১৯ সালে শিলংয়ে অনুষ্ঠিত কেসিএফ এ ৭৪০টি চলচ্চিত্র জমা দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৪৭৭টি চলচ্চিত্র দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শিত হয়, যার মধ্যে ২৬৩টি চলচ্চিত্র এসেছিল উত্তর পূর্ব ভারত থেকে।

পরবর্তীতে চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বেশ কয়েক বছর এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।

তবে এই অনুষ্ঠানটি মেঘালয়ের চলচ্চিত্রাঙ্গনের উন্নয়ন আনবে এ ব্যাপারে অনেকেই আশাবাদী।

ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ঘোষণা করে, চলচ্চিত্র নির্মাতা ডমিনিক সাংমা বলেন, কেসিএফ এর লক্ষ্য হলো উত্তর পূর্ব ভারতের প্রতিভাদেরকে তুলে ধরা এবং ভালো ভালো চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট করা। তিনি বলেন, মেঘালয়সহ উত্তর পূর্ব ভারতের এই অঞ্চলগুলোতে অনেক প্রতিভারাই রয়েছেন। তাছাড়া তারা চলচ্চিত্র শিল্পের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান।

উৎসবটিতে ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের যেকোন ভাষায় নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং তথ্যচিত্রগুলোই স্থান পায়। এ চলচ্চিত্রগুলোর স্থায়িত্ব ১০ মিনিটের কম কিংবা ৩০ মিনিটের বেশি হবে না।

উৎসবের আগেও যদি কোন চলচ্চিত্র উত্তর পূর্ব ভারতে দেখানো হয়ে থাকে, সে বিষয়টি এখানে বিবেচ্য নয়। উৎসবেরই অংশ হিসেবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। জয়ী চলচ্চিত্রটি শিলংয়ের ইউ সোসো থাম অডিটোরিয়ামে প্রদর্শিত হবে।

সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা (পুরুষ ও মহিলা), সিনেমাটোগ্রাফি, সম্পাদনা এবং সাউন্ড ডিজাইনের জন্য বিজয়ীদের ট্রফি এবং মোট ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে।

এছাড়াও নেপালের ডকস্কুলের সাথে মিলিতভাবে আয়োজকেরা দেশের বাইরের চলচ্চিত্রগুলোও প্রদর্শনের জন্য বাছাই করছে।

অর্থাৎ ৯০ মিনিট সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এই ফেস্টিভ্যালে।

আরো পড়ুন: শি'য়ের নেতৃত্বে সামরিকভাবে উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার স্বপ্নে মগ্ন চীন

এছাড়াও পরিবেশ ও সীমান্ত সমস্যাকে উপজীব্য করে ৫ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজনও করা হয়েছে।

এই বিভাগে চলচ্চিত্র জমা দেওয়াএ শেষ তারিখ আগামী ৯ আগস্ট। তাছাড়া বিজয়ীদেরকে ট্রফি ও নগদ ৩০,০০০ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এম এইচ ডি/ 

ভারত কেলভিন চলচ্চিত্র ফেস্টিভ্যাল আন্তর্জাতিক 

খবরটি শেয়ার করুন