ছবি: সংগৃহীত
বাংলা পঞ্জিকায় নতুন বছরের প্রথম সূর্য কিরণের সঙ্গে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। গানের সুরে, কবিতার ছন্দে, নৃত্যের ঝঙ্কারে চলছে বর্ষবরণের আয়োজন। এবার পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের এ প্রভাতি আয়োজনে নব আলোর সন্ধানের আহ্বান জানানো হয়।
আজ শুক্রবার ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে শুরু হয় বাংলা ১৪৩০ সালকে বরণ করে নেওয়ার এ ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। ছায়ানটের শিল্পীরা গানে, যন্ত্রসংগীতের সুরে, কবিতায় আর কথায় নতুন বছরকে বরণ করে নেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার। এছাড়া ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলেও অনুষ্ঠানটি দেখা যাচ্ছে।
এদিন কাক ডাকা ভোর থেকেই বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে রমনা বটমূল ছুটে আসেন নারী, পুরুষ ও শিশুরা। তাদের পরনে ছিল রঙিন পোশাক। অন্যদিকে, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রমনা পার্ক, বটমূল ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আসা কবির আহমদ বলেন, প্রতিবারই রমনা বটমূলে পয়লা বৈশাখের উৎসবে আসা হয়। সবার সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগতে জানাতে চলে আসি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বৃষ্টি বলেন, এবারই প্রথম এ অনুষ্ঠানে এসেছি। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। নতুন বছর সবার ভালো কাটুক, এটাই চাই।
এছাড়া বর্ষবরণে থাকছে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর নববর্ষে পান্তা-ইলিশসহ নানা রকম দেশি খাবার খাওয়ার রেওয়াজ থাকলেও এবার পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় দিনের বেলায় এ আয়োজন থাকছে না।
১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত বাংলা নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা যুগিয়েছে।
এম/