সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজ হাতে ৩০ পারা কোরআন লিখলেন তাহসিন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:৪৬ অপরাহ্ন, ৬ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের প্রতি বিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা থেকে পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে লিখলেন  চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের মো. তাহসিন আলম (২০) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। 

কোরআনের হাফেজ হওয়ার ইচ্ছা পূরণ না হলেও মাদ্রাসা পড়ুয়া তাহসিন নিজ হাতে ৩০ পারা কোরআন লেখে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। স্বহস্তে লেখা কোরআন শরীফটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের সর্বমোট ১১৪টি সূরা এবং ৬,৬৬৬ টি আয়াত সম্পূর্ণ হাতে লেখে লিপিবদ্ধ করেছেন তিনি।

তাহসিন আলম উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকার রফিকুল আলমের ছেলে। এই কোরআন শরীফ লিখতে ৬ শত বেশি কাগজ ও অর্ধশত কলমসহ লেগেছে অন্যান্য উপকরণ। পড়ালেখা ও ঘরের টুকটাক কাজ ছাড়াও বাকি সময়টি তিনি ব্যয় করতেন পবিত্র কোরআন শরীফ লেখার কাজে।

জানা গেছে, দীর্ঘ এক বছর এক মাস সময় লেগেছে স্বহস্তে কোরআন শরীফটি লিখতে। বর্তমানে সে জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল প্রথম বর্ষে ও চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে পড়ালেখা করছে। কোরআন শরীফ লিপিবদ্ধ করার প্রতিটি মুহূর্তই বিশেষ ছিল তাহসিনের কাছে। প্রথম দিকে কিছুটা কঠিন লাগলেও একসময় ভালোলাগা শুরু হয়। দৈনন্দিন জীবনের কাজের একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিটি হরফ যখন লিখতেন, মনে করতেন এটিই জীবনে সবচেয়ে শান্তির কাজ।

মো. তাহসিন আলম জানান, ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল কোরআনে হাফেজ হওয়ার। কিন্তু কোনও কারণে হতে পারেনি হাফেজ। কিন্তু সেই ইচ্ছাকে সবসময় লালন করতেন মনের মধ্যে। এছাড়াও বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমার বয়সী ছেলেরা ফেসবুক ও এন্ড্রয়েড মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গেইমে আসক্তি। যার কারণে তারা প্রতিদিন ৪-৫ ঘণ্টা সময় ব্যয় করছেন অযথা। আমি সেই সময়টি কাজে লাগিয়েছি স্বহস্তে কোরআন শরীফ লিখতে। গত বছরের জুন মাসের ১৯ তারিখ থেকে সহস্তে কোরআন শরীফ লেখা শুরু করেন। চলতি বছরের জুলাই মাসের ২৮ তারিখে লেখা শেষ হয়। এর চেয়ে যেন ভালো কিছু করতে আগ্রহ প্রকাশ করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

শীতলপুর গাউছিয়া ইসলামী দাখিল মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক মাওলানা গাউসুল ফারুক বলেন, বর্তমান যুগে তার বয়সী অনেক ছেলে মোবাইল আসক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তাদের তুলনায় সে ভিন্ন। আমি তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

তার গর্বিত পিতা মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, তার পড়ালেখা ও সংসারিক টুকিটাকি কাজ ছাড়া যেই সময়টি পেতেন সেই সময় সে কোরআন শরীফ লিখতে বসে যেতেন। অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত কোরআন শরীফ লিখেছেন। সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।

ওআ/


কোরআন

খবরটি শেয়ার করুন