বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়মিত কলার খোসা খান, ছুঁতে পারবে না ক্যান্সার!

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, ১৩ই আগস্ট ২০২৩

#

কলার খোসা

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবাই জানেন। কিন্তু কলা খাওয়ার পর খোসা ফেলে দেন নাকি? তাহলে যে বিরাট বড় ভুল করছেন! কলার খোসার রয়েছে একাধিক গুণ। এমনকি একাধিক রোগকে বশে রাখার কাজেও এর প্রভাব বেশ ভালো। তাই যত দ্রুত সম্ভব এর গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। 

পৃথিবীর অনেক পুষ্টিবিদদের কথায়, নানাবিধ ছোট বড় রোগ দূর করার কাজে কলার খোসা অত্যন্ত উপকারী। তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে চাইলে নিয়মিত কলার খোসা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। 

প্রসঙ্গত, কলার খোসায় একসাথে রয়েছে কার্ব, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো মতো অত্যন্ত উপকারী কিছু খনিজ এবং ভিটামিন। তাই প্রায়শই কলার খোসা খেলে যে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য। 

তাই আর দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব কলার খোসা খাওয়ার একাধিক চোখ ধাঁধানো গুণ সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করছি, এই প্রতিবেদনটি পড়ার পর আপনিও আর কলার খোসা ফেলে না দিয়ে চটজলদি গলাধঃকরণ করবেন।


ডিপ্রেশন মুড চলে যাবে-​

আজকালকার দ্রুত এগিয়ে চলা জীবনযাত্রায় অনেকেই দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও অবসাদের মতো মানসিক সমস্যার খপ্পরে পড়ছেন। তাই বড়সড় বিপদ ঘটার আগেই এই সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। আর আপনাকে এই কাজে সহয়তা করতে পারে কলার খোসা। এই প্রসঙ্গে ওয়েবমেড জানাচ্ছে, কলার খোসায় রয়েছে ভিটামিন বি৬-এর ভাণ্ডার যা মস্তিষ্কে হ্যাপি হরমোনের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই নিয়মিত কলার খোসা খেলে ডিপ্রেশন ও মুড ডিজঅর্ডার থেকে মুক্ত হওয়া যায়। 

 

ফিরবে পেটের স্বাস্থ্য- ​

বাঙালিদের মধ্যে পেটের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। মুশকিল হল, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগই গ্যাস, অ্যাসিডিটি হলেই সরাসরি অ্যান্টাসিড মুখে চালান করে দেন। এতে তাৎক্ষণিক সমস্যা কমে যায় ঠিকই, তবে অসুখের মূলে কুঠারাঘাত করা হয় না। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, আপনার হাতের অবহেলার কলার খোসা খেলেই কিন্তু ফিরতে পারে পেটের স্বাস্থ্য। তাই পেটের রোগে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত কলার খোসা খেতে ভুলবেন না!


বাড়বে​ দৃষ্টিশক্তি-  

প্রায়দিন কলার খোসা খেলে কিন্তু দৃষ্টিশক্তির হাল ফিরতে সময় লাগবে না। আসলে এতে রয়েছে ভিটামিন এ-এর ভাণ্ডার। আর এই ভিটামিন কিন্তু চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই ছোটদের ডায়েটে কলার খোসা রাখতেই পারেন। এছাড়া যারা বয়সজনিত চোখের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও সুযোগ পেলেই কলার খোসা খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমেই চোখের রোগের ফাঁদ এড়াতে পারবেন। 


বড় কথা হলো দূরে থাকবে ক্যানসার​ও!

ক্যানসার একটি মরণ অসুখ। এই রোগে আক্রান্ত হলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাই যেন তেন প্রকারেণ এই প্রাণঘাতী রোগকে প্রতিরোধ করতেই হবে। আর আপনাকে এই কাজে সাহায্য করতে পারে কলার খোসা। আসলে এতে এমন কিছু পলিফেনলস এবং ক্যারোটিনয়েডস রয়েছে যা দেহ থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সময় সুযোগ পেলেই কলার খোসা খেয়ে নিন।

কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে​

আসলে কলার খোসায় বেশ কিছুটা পরিমাণে ফাইবার উপস্থিত রয়েছে। আর এই উপাদান কিন্তু খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই রক্তে এলডিএল-এর মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়লে অবশ্যই কলার খোসা খাওয়া শুরু করুন। এতেই কিন্তু মিলবে উপকার। হার্টের অসুখে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কমবে। 

এসকে/ 

কলার খোসা ক্যানসার প্রতিরোধ

খবরটি শেয়ার করুন