ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় সরকার প্রধানের পদে থাকা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান মাত্র ১৫ শতাংশ ইসরায়েলি।
বরং জনপ্রিয়তার নিরিখে তার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন নেতানিয়াহুর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদ বেনি গান্টজ। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাতেও রয়েছেন তিনি, তবে তাকে কোনো মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়নি। আইডিআই’র জরিপ বলছে, হামাসের সেই হামলার পর থেকে ইসরায়েলে জনপ্রিয়তা কমেছে নেতানিয়াহুর।
অবশ্য নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা কমলেও গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলে উপত্যকায় লাগাতার সেনা অভিযান পরিচালনার যে নীতি নিয়েছে তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা, সেই নীতির প্রতি সমর্থন রয়েছে অধিকাংশ নাগরিকের।
ইসরায়েলের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা ইসরায়েল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (আইডিআই) ২৫-২৮শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করেছে জরিপটি। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১৫ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুকে দেখতে চান।
২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেনি গান্টজ সবচেয়ে উপযুক্ত রাজনীতিবিদ বেনি গান্টজ এবং যুদ্ধের পর তারই এই পদে আসীন হওয়া উচিত; আর ৩০ শতাংশ এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে জনপ্রিয়তা কমলেও হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করা এবং এখনও এই গোষ্ঠীটির কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে গাজায় টানা সেনা অভিযানের পরিচালনার যে নীতি নিয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন বিশেষ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা, সেই নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৫৬ শতাংশ ইসরায়েলি। অপরদিকে জরিপে অংশ নেওয়া ২৮ শতাংশ ইসরায়েলি হামাসের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সংলাপ এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধারের পক্ষে মত দিয়েছেন।
গত ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। ২৮ই অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থলবাহিনীও।
সূত্র: রয়টার্স
এইচআ/