সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটন শিল্পকে অবরোধ কর্মসূচির বাইরে রাখার দাবি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:২৪ অপরাহ্ন, ১৬ই নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

হরতাল-অবরোধে মৌসুমের শুরুতেই কক্সবাজারে পর্যটন খাতে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলার ডাকা হরতাল ও অবরোধে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার।

এমন পরিস্থিতিতে বেশি ছাড়ের পাশাপাশি নানান সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও পর্যটনের ভরা মৌসুমে আশানুরূপ সংখ্যক পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রত্যাশিত পর্যটক না থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীসহ এ খাতের সঙ্গে জড়িতরা। 

অক্টোবর থেকে শুরু হয় কক্সবাজারের পর্যটন মওসুম। লাখো পর্যটকে মুখর থাকে সাগর তীর। তবে এবারে চিত্র ভিন্ন। মওসুমের শুরুতেই বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশ, হরতাল আর অবরোধের ধাক্কা লেগেছে পর্যটন খাতে। আগের মতো ভিড় নেই সৈকতজুড়ে। লাখো পর্যটকের সংখ্যা নেমেছে মাত্র কয়েক হাজারে। এমন পরিস্থিতিতে ছাড়সহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও পর্যটক পাওয়া যাচ্ছে না। 

হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, “অবরোধের পর থেকে পর্যটকশূন্য হয়ে আছে। কক্সবাজারে পর্যটক নাই বললেই চলে, সামান্য কিছু পর্যটক আছে। এভাবে চললে পর্যটক শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হবে।”

আরো পড়ুন: কক্সবাজারের চমৎকার কয়েকটি হোটেল ও রিসোর্ট

তিনি বলেন, যারাই বা ঘুরতে এসেছেন অজানা শঙ্কায় তারা। বিপাকে সৈকতপাড়ের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইকার, ওয়াটার বাইকারসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। পর্যটকরা জানান, আতঙ্ক তো আছেই। অবরোধ না হলে সবাই এসে আনন্দ করতে পারতো। ফ্যামিলি থেকে বার বার ফোন আসতেছে, চলে আস চলে আস। গেল এক সপ্তাহে কক্সবাজারের পর্যটন খাতে শত কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার দাবি এই ব্যবসায়ী নেতার।

কক্সবাজার চেস্বার অব ইন্ড্রাস্ট্রি সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, “এই ধরনের অবরোধ চলতে থাকলে এই ভরা মওসুমে পর্যটন শিল্পে যে ধস নামবে আগামী ১০ বছরেও তা পুষিয়ে ওঠা যাবে না।”

পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে এ খাতকে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির বাইরে রাখার দাবি পর্যটক-ব্যবসায়ীসহ সবার।

এসি/ আই. কে. জে/


কক্সবাজার পর্যটক

খবরটি শেয়ার করুন