মাহমুদ আব্বাস ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী দল ও গোষ্ঠীগুলোর জোট প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) সেখানকার জনগণের বৈধ ও একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
রোববার (১৫অক্টোবর)ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে তিনি এই দাবি জানান। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের নীতি ও কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনাও করেন তিনি।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ এজেন্সি তাদের প্রকাশিত সংবাদে প্রথম দিকে আব্বাসের পুরো বক্তব্য তুলে ধরেছিল। তবে কয়েক ঘণ্টা পর সেই প্রতিবেদনে খানিকটা পরিবর্তন আসে; সেখান থেকে ‘হামাস’ শব্দটি মুছে ফেলা হয়। ঠিক কী কারণে এমন হলো— সে সম্পর্কিত কোনো ব্যাখ্যা বা ইঙ্গিত দেয়নি ওয়াফা।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের প্রথম সংস্করণ অনুযায়ী, রোববারের ফোনালাপে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকে আব্বাস বলেছিলেন, ‘হামাসের নীতি ও কর্মকাণ্ড ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। সাধারণ ফিলিস্তিনিদের প্রকৃত, বৈধ এবং একমাত্র প্রতিনিধি পিএলও।
‘ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণ চায়—গাজা ও ইসরায়েলের বেসামরিক লোকজনকে হত্যা বন্ধ হোক, উভয়পক্ষের বন্দি ও জিম্মিদের মুক্ত করা হোক এবং অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ হোক।’
নিউজ সাইটে কয়েক ঘণ্টা এই সংবাদটি থাকার পর তাতে কিছু পরিবর্তন আনে ওয়াফা। পরিবর্তিত সেই সংস্করণে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেছেন—নীতি, কর্মসূচী এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যদি বিচার করা হয়, সেক্ষেত্রে পিএলও-ই ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের বৈধ ও একমাত্র প্রতিনিধি। অন্য কোনো গোষ্ঠী বা সংগঠন নয়।’
পিএলও জোটটি গঠন করেছিলেন ফিলিস্তিনের জনগণের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত। বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনের পাশাপাশি পিএলও এবং এই জোটের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল ফাতাহেরও প্রেসিডেন্ট। গাজা ভূখণ্ডের সঙ্গে এই জোটের সম্পর্ক চরম বৈরী।
কারণ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের মতে, ইয়াসির আরাফাত ও পিএলওকে অস্বস্তিতে রাখার জন্যই ১৯৮৭ সালে হামাস গঠিত হয়েছিল এবং সে সময় হামাসের গঠন প্রক্রিয়ায় সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল ইসরায়েল।
২০০৭ সালে গাজা উপত্যকার দখল নেয় হামাস। সেই দখলের অংশ হিসেবে উপত্যকা থেকে পিএলও এবং ফাতাহকে উচ্ছেদ করেছিল এই কট্টর ইসলামপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠী।
একে/