ছবি-সংগৃহীত
কৃষকরা বলছেন, এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর ১০-১২ দিনের মধ্যে সব পেঁয়াজ বাজারে উঠবে। চাঁপাইনাবগঞ্জে এবার পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বিঘা জমিতে। জেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আতাউর রহমান বলেন, ‘আমরা ১ বিঘা করে চাষের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে প্রণোদনা হিসেবে পেয়েছি ভারতীয় এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজ, সার-কীটনাশক ও ২ হাজার ৮০০ টাকা। এতে পেঁয়াজ চাষে খরচ খুবই কম হয়েছে। পেঁয়াজ কয়েকটি উঠিয়ে দেখেছি, ভালো ফলনও হয়েছে। আশা করছি এবার লাভবান হবো।’
শিবগঞ্জ উপজেলার পেঁয়াজ চাষি আসাদুল ইসলাম বলেন, ১০-১৫ দিনের মধ্যে সব পেঁয়াজ ঘরে তুলে বিক্রি করবো। কিছু পর্যায়ক্রমে উঠানো হচ্ছে। ১ বিঘায় ফলন হচ্ছে প্রায় ১০০ মণ। এগুলো বিক্রি করেছি ৩ হাজার টাকা মণ দরে।
আরো পড়ুন: বাগানে বিশেষ লাইট ব্যবহারে বাড়ছে ড্রাগন ফলের উৎপাদন
তিনি বলেন, সবগুলো পেঁয়াজ উঠিয়ে বিক্রি করার মতো হয়নি। তবে কিছু পেঁয়াজ উঠিয়েছি। পেঁয়াজের আকারও হয়েছে বেশ বড়। একেকটির ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম। ১ বিঘায় ফলন ১১০ থেকে ১২০ মণ হবে বলে আশা করছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক পলাশ সরকার বলেন, ‘জেলায় ৩ দফায় সাড়ে ৪ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দিয়ে সাড়ে ৪ হাজার বিঘা জমিতে ভারতীয় এন-৫ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করানো হয়। এবার পেঁয়াজের ফলন খুবই ভালো। এতে পেঁয়াজ চাষিদের মুখে হাসি ফুটছে।’
এসি/ আই. কে. জে/