ছবি-সংগৃহীত
দূর থেকে মনে হবে মাঠজুড়ে যেন মিটিমিটি জ্বলছে জোনাকি। কাছে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি লাইট আর নিচে সবুজ ড্রাগন গাছ ও সাদা ফুলের হাতছানি। যেন আঁধার রাতে আলো আর সবুজ-সাদার মিলনমেলা।
জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চারাতলা গ্রামে ১১ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হয় ড্রাগন বাগান। এখানে ৩০ হাজার গাছে প্রতি সিজনে ফলন হতো গড়ে ৪৫ টন। বাগানটিতে মাসে খরচ ২ লাখ টাকা। প্রতিদিন ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করেন।
দেড় মাস আগে চীন থেকে ২ হাজার ৮০০ বিশেষ ধরনের লাইট এনে রাতে শুরু হয়েছে ড্রাগন ফলের পরিচর্যা। আলোর কারণে বাগানে ফুলের সংখ্যা গত মৌসুমের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এখন প্রায় ৭০ হাজার ফুল ফুটেছে। যা অন্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ।
রাতে শহর থেকে বাগান দেখতে আসা মেহনাজ পারভীন বলেন, ‘ফেসবুক ও ইউটিউবে ড্রাগন বাগানের লাইট দেওয়ার দৃশ্য দেখেছি। তবে হরিণাকুণ্ডু ড্রাগন বাগানের লাইটের ব্যবস্থা করেছে এটা জানতে পেরে স্বামী আর সন্তান নিয়ে দেখতে এসেছি।’
আরো পড়ুন: শীতকালে গবাদি পশুর যত্নে বাড়তি সতর্কতা
স্থানীয় মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যায় এ পথ দিয়ে যারা চলাচল করেন, বাগানে লাইট দেওয়ার কারণে তারা দাঁড়িয়ে দেখেন। প্রতিদিন বাইরের অনেক লোকজন বাগানটি দেখতে আসেন।’
বাগানের ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর ৪০-৪৫ টন ফল বিক্রি করেছি। এ বছর তার চেয়েও বেশি ফল হচ্ছে। কারণ চায়না থেকে বিশেষ লাইট এনেছি। এটি ব্যবহারে এখন ৭০ হাজার ফুল এসেছে। এখন বারো মাস ফুল ও ফল পাবো। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা এবং ভোর ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয়।’
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রশিক্ষণ অফিসার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ড্রাগন বাগানে এই লাইট ইন্ডোজ পদ্ধতিতে ফুল ও ফল বৃদ্ধি পায়। এতে চারাতলা গ্রামের কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছেন; তেমনই অন্যরা এ পদ্ধতির মাধ্যমে বাড়তি লাভ করতে পারেন।’
এসি/ আই.কে.জে/