শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোশাক কারখানা খুলেছে, কাজে ফিরলেন শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৬:১০ অপরাহ্ন, ১৪ই নভেম্বর ২০২৩

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে শিল্প এলাকাগুলোতে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিবেশ শান্ত হয়ে এসেছে। ঢাকাসহ সাভারের আশুলিয়া ও গাজীপুরে বন্ধ থাকা কারখানাগুলো একে একে খুলছে। কাজে ফিরছেন শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।

এর আগে সকালে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জিরানী বাজার, কবিরপুর, পলাশবাড়ি, কাঠগড়া, জিরাবো, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, বাইপাইল, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নিশ্চিন্তপুর, নরসিংহপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সবগুলো কারখানায় সকাল থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা দুই সপ্তাহ বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে শ্রমিকরা। হামলা ও ভাঙচুর করা হয় বিভিন্ন কারখানা। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১১ নভেম্বর আশুলিয়ায় শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

পরের দিন শিল্পাঞ্চলের ৭০টি কারখানা খুলে দেওয়া হয়। এর পরের দিন খুলে দেওয়া হয় ৭৫টি কারখানা। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার একটি কারখানা ছাড়া সলল কারখানা খুলে দেওয়া হয় এবং শ্রমিকরা যথারীতি কাজে যোগদান করেন।

বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে টানা কয়েক দিনের আন্দোলনে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর আজ সকল কারখানা খোলা হয়েছে। আমরা কাজে যোগ দিয়েছি।

কাঠগড়া এলাকার ডুকাটি অ্যাপ্যারেলস লিমিটেড কারখানার কয়েকজন শ্রমিক জানায়, তাদের কারখানায় কোনো শ্রমিক আন্দোলন করেনি। তবে শেষের দিকে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে বসে ছিল। তাদের কারখানায় বহিরাগতরা হামলা করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। আজকে আবার কারখানা খুলে দিয়েছে। তাই সকলেই কাজে যোগ দিয়ে উৎপাদন শুরু করেছেন।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, গত ১১ নভেম্বর নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৩০টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।

যা ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ১২ নভেম্বর ৭০টি কারখানা ও ১৩ নভেম্বর ৭৫টি এবং সর্বশেষ আজ ১২৯টি কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। নাবা নিট নামের একটি কারখানা বন্ধ রয়েছে। সেটিও দ্রুত খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করছি।

ওআ/

পোশাক কারখানা শ্রমিকরা

খবরটি শেয়ার করুন