ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। ফাইল ছবি
ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে রুশ সরকারের নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে, পশ্চিমাদের তোলা এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিবৃতিতে পেসকভ বলেন, বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডিএনএ রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, ‘ইয়েভগেনি প্রিগোজিনসহ বিমানের যাত্রীদের মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। এই জল্পনাগুলো পশ্চিমারা তৈরি ও প্রচার করছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
ক্রেমলিন প্রিগোজিনের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ পেয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সব আলামত বিশ্লেষণ করা হবে। সব পরীক্ষা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’
এদিকে পশ্চিমাদের দাবি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ থেকে সরে আসায় এমন পরিণতির মুখে পড়েছিলেন প্রিগোজিন। বিমান বিস্ফোরণের ঘটনাটি ওয়াগনার বিদ্রোহের প্রতিশোধ হিসেবে দেখছে তারা। বিদ্রোহটি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ২৩ বছরের শাসনের জন্য শক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল বলেও মনে করছে পশ্চিমারা।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ স্পষ্টভাবে পশ্চিমাদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ওয়াগনার বিদ্রোহের অবসান ঘটানোর চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন। পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই মিত্র এ ব্যাপারে বলেন, ‘রুশ নেতা প্রিগোজিনের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এটা আমার বিশ্বাস হয় না।’
লুকাশেঙ্কো আরো বলেন, ‘আমি পুতিনকে চিনি। তিনি খুব শান্ত এবং স্থির। আমি কল্পনাও করতে পারি না যে পুতিন এটা করেছেন বা এর জন্য পুতিনই দায়ী। এটা খুবই অ-পেশাদার কাজ হয়েছে।’
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন