শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে হৃদয়ের একটা অংশ রেখে গেলাম : মার্টিনেজ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪২ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৩

#

এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সফরটি মূল কলকাতায় ছিল। তাকে আনার জন্য বাংলাদেশের কোনো উদ্যোগও ছিল না। ইচ্ছাটা ছিল মার্টিনেজের নিজেরই। কাতার বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশী সমর্থকদের সমর্থন ও ভালোবাসা দেখে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছেন মার্টিনেজ। এবার বাংলাদেশ ভ্রমণের পর বাজপাখি খ্য মার্টিনেজ নিজেই জানালেন, বাংলাদেশে আবারও আসতে চান তিনি।

লম্বা সফর শেষে (৩ জুলাই) সোমবার ভোরে বাংলাদেশে পা রাখেন মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন ১১ ঘণ্টার মতো। এ সফরকালে তিনি দেখা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গেও দেখা হয়েছে তার। এছাড়া আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের দেখা পেয়েছেন ভাগ্যবান কিছু ব্যক্তি।

মার্টিনেজকে ঢাকায় আনার পেছনে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল ফান্ডেডনেক্সট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই তাদের নির্ধারিত মানুষের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তার। বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল নিয়ে যে উন্মাদনা সেটা অবশ্য দেখার সুযোগ হয়নি তার। তবুও বাংলাদেশের প্রতি মুগ্ধ মার্টিনেজ। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক জানিয়েছেন, আবারও বাংলাদেশে আসতে চান তিনি।

বাংলাদেশে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন মার্টিনেজ। এর আগেই নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বাংলাদেশের প্রতি মুগ্ধতার বিষয়টি জানান তিনি। পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের বাজপাখি হতে পেরে অভিভূত তিনি। জানিয়েছেন, বাংলাদেশে হৃদয়ের একটা অংশ রেখে যাচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশ সফরের বিভিন্ন ছবি আপলোড করে ক্যাপশনে মার্টিনেজ লিখেছেন, নেক্সট ভেনচার ও ফান্ডেডনেক্সটের সঙ্গে বাংলাদেশে অসাধারণ একটা সফরে এসেছিলাম আমি। এ দেশের মানুষের যত্ন, ভালোবাসা ও অতুলনীয় আতিথেয়তা আমার হৃদয় জয় করেছে। আমি নিকট ভবিষ্যতে এই সুন্দর দেশটিতে আবারও আসতে চাই।’

 তিনি আরও আরও লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ বাহিনী ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। একই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাই নাম না জানা আরও অনেককে, এই সফরে যাঁদের অবদান মোটেও কম নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমার যে বিশেষ সম্পর্ক, আপনারা সবাই তাঁর অংশ। আমি এই দেশে আমার হৃদয়ের একটা অংশ রেখে যাচ্ছি। পরবর্তী সফরের আগপর্যন্ত সবাইকে বিদায় জানাই। আমি বাংলাদেশের বাজপাখি হতে পেরে মুগ্ধ।’

আই. কে. জে/

Important Urgent

খবরটি শেয়ার করুন