প্রতীকী ছবি
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাবে, এমন আশঙ্কা থাকার সত্ত্বেও সৌদি আরব ও রাশিয়া রপ্তানি কমানোর কারণে আবারও বাড়ছে তেলের দাম।
সোমবার (২১ আগস্ট) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬১ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৮৫ দশমিক ৪১ ডলারে ওঠে যায়। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৬৩ সেন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৯৯ ডলারে। খবর আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ডব্লিউটিআই ক্রুডের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। অক্টোবর মাসে সরবরাহ হতে যাওয়া এই তেলের দাম ৫৬ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ২২ ডলারে।
গত সপ্তাহের আগপর্যন্ত টানা ৭ সপ্তাহ ব্রেন্ট ক্রুড ও ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম বেড়েছে। পরে গত সপ্তাহে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম ২ শতাংশ কমে যায়। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নীতি সুদহার আরও সময় ধরে বাড়তি থাকবে, এমন ধারণায় ডলারের দর বেশি থাকা এবং চীনের আবাসন খাতের দুরবস্থায় দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির আশঙ্কায় গত সপ্তাহে জ্বালানির তেলের দাম কমে যায়।
এদিকে বছরের বাকি অংশজুড়ে তেলের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করেন আইএনজি এর কমোডিটি রিসার্চের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন।
শিপট্র্যাকিং ফার্ম কেপলারের বরাতে সিঙ্গাপুরের ৮ ভ্যান্ট এইডজডের সিনিয়র পোর্টফোলিও ম্যানেজার স্টেফানো গ্রাসো বলেছেন, আগস্টে ওপেক প্লাস কম অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করবে। সামগ্রিকভাবে সরবরাহ কমলেও চাহিদা বাড়ছে। যদি মন্দা হয়ে চাহিদা কমে না যায়, তাহলে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো হাতে তেলের বাজারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
এদিকে বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক চীন এই বছরের শুরুর দিকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে পরিশোধনাগারগুলোয় মজুত করে রেখেছে। তবে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছে দেশটি।
চীনা কাস্টমস ডেটার তথ্য অনুসারে, গত মাসে সৌদি আরব থেকে জ্বালানি তেল কেনা ৩১ শতাংশ কমিয়েছে চীন। কিন্তু বিপরীতে রাশিয়া থেকে এখনও ছাড় করা মূল্যে তেল কিনে যাচ্ছে দেশটি।
এসকে/