শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে এসসিও বৈঠকে যোগ দেবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, ২০শে এপ্রিল ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত


পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আগামী মাসে ভারত সফরে যাচ্ছেন। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) নামে একটি আঞ্চলিক জোটের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশটি সফর করবেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি আগামী মে মাসে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন। আগামী ৪-৫ মে ভারতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা ব্লক এসসিওর সদস্য হিসেবে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও পাকিস্তান। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এসসিওর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য গোয়ায়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পর প্রথম পাকিস্তানি নেতা হিসেবে ৪ মে ভারত সফর করবেন। 
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরাহ বালোচ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, 'বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ভারতের গোয়ায় ৪-৫ মে অনুষ্ঠিতব্য এসসিও কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস (সিএফএম) এ পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'এসসিও সিএফএমের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো বৈঠকে যোগ দেবেন। এসসিওর প্রতি আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পাকিস্তান এসসিও বৈঠকে অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।'
বর্তমানে এসসিওর আটটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। দেশগুলো হলো- চীন, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
এই সংস্থার চারটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হলো আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান ও মঙ্গোলিয়া। তবে, এই চারটি দেশই এসসিওর পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে পাকিস্তান ও ভারত তিনটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে বিতর্কিত কাশ্মির ছিল দুই দেশের মধ্যে দুটি যুদ্ধের মূল কারণ। তবে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে কয়েক দশক ধরে চলা বিদ্রোহের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে নয়াদিল্লি।
তবে ভারতের এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। ২০১৯ সালের শেষের দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ভারত একতরফাভাবে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা বাতিল করে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানান, নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপের ফলে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। 
ভারতের এই পদক্ষেপের পর থেকে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা প্রায় স্থগিত রয়েছে। যদিও বিভিন্ন সময়ে কূটনীতির মাধ্যমে পর্দার আড়ালে আলোচনা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এম/

আরো পড়ুন:

সব পথেই স্বস্তির ঈদযাত্রা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান ভারত

খবরটি শেয়ার করুন