ছবি: সংগৃহীত
কৃষির মাটি বাঁচানোর ক্যাম্পেইনে ভারত থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন দুই যুবক। ১৫ দিনের সফরে তারা বাংলাদেশের ৯টি জেলার প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন ও তাদের সচেতন করছেন। শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে দিকে তারা বগুড়ায় পৌঁছান।
কৃষির মাটি বাঁচানোর ক্যাম্পেইনে আসা দুই যুবক হলেন- ভারতের কলকাতা নদীয়ার কৃষ্ণপুর এলাকার পলাশ পাইক ও কলতাকার বেলেঘাটার গৌতম কর্মকার। পলাশ পেশায় শিক্ষক। আর গৌতম ফ্রিলান্সিং ফটোগ্রাফার। তারা দুইজন এখন পরিবেশ আন্দোলন কর্মীও।
জানা গেছে, যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে তারা গত ১৬ মে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এরপর তারা চাষযোগ্য মাটি বাঁচানোর সচেতনতার ক্যাম্পেইন শুরু করেন। যশোর থেকে তারা যান খুলনায়, এরপর গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়ায়।
ফ্রিলান্সিং ফটোগ্রাফার ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গৌতম জানান, পৃথিবীতে ক্রমাগতভাবে চাষযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে। আমেরিকার মতো জায়গায় অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে প্রাণ প্রকৃতির সঙ্গে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে কৃষি জমিও। এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীতে চাষযোগ্য জমি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
পলাশ ও গৌতম বিভিন্ন গবেষণার বরাতে দাবি করেন, পৃথিবীতে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে ৷ এর মধ্যে খাদ্য উৎপাদনে বিভিন্ন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। চাষযোগ্য জমি কমতে থাকলে পৃথিবী খাদ্য সংকটে পড়বে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারতে ইষা ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন মাটি বাঁচানোর আন্দোলন করছে। মূলত তাদের আন্দোলনের অনুপ্রাণিত হয়েই তারা বাংলাদেশে এই সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে এসেছেন।
বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর তারা ঢাকায় ফ্যামিলি সাইক্লিং নামক একটি গ্রুপের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশি এই গ্রুপও দেশের চাষযোগ্য মাটি রক্ষার আন্দোলনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশি গ্রুপের মাধ্যমে তারা ব্যাপক পরিসরে মাটি রক্ষার মেসেজ ছড়িয়ে দিতে চান।
আরো পড়ুন: আমাদের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ক্যাম্পেইনে আসা যুবক পলাশ বলেন, তারা প্রতিদিন একটি জেলার অন্তত ১৫ জন কৃষক কিংবা প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা বুঝানোর চেষ্টা করছেন, কীটনাশক দিলে মাটির সর্বনাশ হয়। এভাবে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করলে পৃথিবীতে চাষযোগ্য মাটি পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে। তারা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার, গাছ লাগানোর পরমার্শ দিচ্ছেন।
এসি/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন