সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যষ্টিমধুর নানা ঔষধি গুণ

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, ৭ই নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

যষ্টিমধু নাম শুনে মনে করতেই পারেন, এটি বোধহয় কোনো ধরনের মধু! কিন্তু আসলে যষ্টিমধু এক প্রকার গাছের শেকড়। এ শেকড় থেকে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। গ্লাইসাইররিজা গ্লাবরা বা বাংলায় যষ্টিমধু গাছের শেকড়কে যষ্টিমধু বলা হয়।

বহু বছর ধরে হারবাল বা আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটি। যষ্টিমধুর আছে অনেক ঔষধি গুণ, যা বিভিন্ন রোগ উপশমে ও শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

চলুন জেনে নিই এটা যেভাবে খেলে উপকার পাওয়া যাবে-

১. ফুটন্ত পানিতে পরিমাণমতো যষ্টিমধু ভিজিয়ে ঠান্ডা করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন।

২. দুধের সঙ্গে পান করা যায়।

৩. পরিমাণমত শুধু গুঁড়াও খাওয়া যেতে পারে।

৪. চায়ে দিয়ে পান করা যায়।

৫. শেকড় চিবিয়ে রস খাওয়া যায়

যষ্টিমধুর উপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: যষ্টিমধু প্রতিরক্ষা নার্ভকে উন্নত করে এবং মাইক্রোবিয়াল আক্রমণ প্রতিরোধক লিম্ফোসাইট এবং ম্যাক্রোফেজ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি ইমিউন সম্পর্কিত অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া এবং অটোইমিউন জটিলতা হ্রাস করে।

আরো পড়ুন : জেনে নিন, তেল ছাড়া রান্না করার পদ্ধতি!

হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে: যষ্টিমধুর ফাইটোস্ট্রোজেনিক নারীদের হরমোনজনিত সমস্যা দূর করে।

কাশি ভালো করে: এটি তরল আকারে কফ বের করে দেয় এবং খুসখুসে কাশির তাৎক্ষণিক উপশম করতে পারে। এ ছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলের সমস্যা ও কণ্ঠনালীর প্রদাহ দূর করে। শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন প্রশমিত করে।

ত্বক ভালো রাখে: যষ্টিমধু ত্বকের অ্যাকজিমা, সোরিয়াসিস, প্রদাহ, সানবার্নের সমস্যা নিরাময় করে। ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করে।

দাঁত ভালো রাখে: যষ্টিমধুর দুটি কার্যকর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকাতে পারে।

টিউমার প্রতিরোধক: গ্লাইসিরাইটিনিক অ্যাসিড টিউমার সৃষ্টিকারী ভাইরাসের কার্যকারিতা নষ্ট করে।

অ্যালার্জি প্রতিরোধক: এটির গ্লাইসিরাইসিক অ্যাসিড মাস্টকোষ থেকে হিস্টামিন  নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।

সতর্কতা

অনেক উপকারিতা থাকলেও যষ্টিমধু একটানা খাওয়া উচিত নয়। কিছুদিন বিরতি দিয়ে খাওয়া ভালো। কারণ অতিরিক্ত খাওয়া হলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে-

১. দীর্ঘ সময় ধরে যষ্টিমধু খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

২. অত্যধিক খাওয়ার ফলে পেশি দুর্বলতা, মাথাব্যথা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

৩. পুরুষদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যেতে পারে।

৪. উচ্চরক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, কিডনি, হাইপোথাইরয়েটিজমে আক্রান্ত রোগীদের এটি খাওয়া উচিত নয়।

এস/ আই. কে. জে/


যষ্টিমধু গুনাগুন

খবরটি শেয়ার করুন