গান শুনতে ও গুনগুন করতে কার না ভালো লাগে? আমরা সবাই প্রায়ই আমাদের পছন্দের গান গুনগুন করে থাকি। কিন্তু একটি গান আছে যার ইতিহাস রীতিমত মারাত্মক।
কারণ যে এই গানটি গেয়েছে সেই তার জীবন হারিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই গান গেয়ে। আজ পাঠকদের এই গানটির গল্পই শোনাবো।
গানটি হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের ।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এই গানটি গেয়েছেন আমেরিকান গায়ক ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা। কিন্তু এই গানটি যে এতটা বিপজ্জনক হতে পারে তা কেউই ভাবতে পারেনি। কী এমন আছে এই গানে যার কারণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে?
এই গানটি ‘মাই ওয়ে’ যা ফিলিপাইনের ‘কিলিং সং’ নামেও পরিচিত। স্টেজ পারফরমেন্সের সময় লাইভ কনসার্টে কোনও শিল্পী এই গান গাইলে তাকে খুন করা হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জন শিল্পী প্রাণ হারিয়েছেন এই গানের কারণে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো তারপরেও ফিলিপাইন সরকার এই গানটিকে নিষিদ্ধ করেনি।
তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে গানটি নিয়ে এমনই ভয় ঢুকেছে যে, এখন মানুষজন নিজের মধ্যেও গানটি গুনগুন করতে ভয় পায়। কথিত আছে, নব্বইয়ের দশকে এই গান গাওয়ার সময় বহু শিল্পীকে খুন করা হয়েছে। এই গানটি গাওয়ার কারণে খুন হওয়ার আসল কারণ হলো এটি মানুষের হিংস্র ভাবমূর্তিকে বাইরে টেনে আনে।
যে বারে গায়ক এই গান গাইতেন, সেখানে বেশিরভাগ সশস্ত্র লোক আসতেন। বারে আসামাত্রই তারা ডুবে যেত নেশার দুনিয়ায়। একদিকে মদের নেশা অন্যদিকে গানের হিংসাত্মক কথাবার্তা তাদের খুন করতে প্ররোচিত করে। যে কারণে যে-ই এই গানটি গেয়েছে তাকেই খুন হতেই হয়েছে। আর তাই বর্তমান দিনে ফিলিপাইনের ‘ক্যারাওকে’ বারগুলিতে নিষিদ্ধ এই জীবননাশি গান।
সূত্র: বাংলা হান্ট