ছবি: সংগৃহীত
চীনা নেতা শি জিনপিং চীনের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তাদের যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার, পার্টির জাতীয় নিরাপত্তা কমিশনের বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে যেসব জটিলতা রয়েছে তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অর্থনৈতিক জটিলতা থেকে আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ, বর্তমানে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে চীন। তবে এ বিষয়ে এই প্রথম চীনা নেতা শি জিনপিং সতর্ক থাকার হুশিয়ারি দিলেন।
জটিল ও গুরুতর পরিস্থিতির মোকাবেলার জন্য চীনের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাকে অবশ্যই অতিদ্রুত তাদের আধুনিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে হবে এবং তাদের উন্নয়নকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি চীনকে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ এবং আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নির্মাণ, জাতীয় নিরাপত্তা শিক্ষা বৃদ্ধি এবং ডেটা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুরক্ষা ব্যবস্থাপনার উন্নতির সাথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এক দশক আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শি জিনপিং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুত্বের সাথে দেখেছেন এবং এ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন।
রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা, সংস্কৃতি থেকে মহাকাশযান পর্যন্ত তিনি জাতীয় নিরাপত্তার ধারণাকে প্রসারিত করেছেন। এমনকি নীল ডিগ্রেস টাইসনের মতে, চীনের এ পদক্ষেপ নাসার উপরেও চাপ সৃষ্টি করেছে।
বিস্তৃত জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কে শি এর ধারণার অধীনে, চীন সন্ত্রাসবাদ, পাল্টা গুপ্তচরবৃত্তি, সাইবার নিরাপত্তা, বিদেশী বেসরকারি সংস্থা, জাতীয় গোয়েন্দা এবং তথ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত আইন সহ অনুভূত সকল হুমকির বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি আইন প্রবর্তন করেছে।
সম্প্রতি, এদেশ রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ও গোয়েন্দা তথ্য সুরক্ষার ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে এবং একইসাথে গুপ্তচরবৃত্তির আইনের পরিধিকে বিস্তৃত করেছে।
হংকং-এ, বিশাল গণতন্ত্রের বিক্ষোভ শহরকে বিপর্যস্ত করার পর ভিন্নমত দূর করার জন্য চীন দ্বারা একটি সুস্পষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপ করা হয়।
এমনকি আমেরিকার অনেক কোম্পানির মতেও চীনের গুরুত্ব এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে সরে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর এসে নিবিষ্ট হয়েছে।
তিন বছরের শূন্য কোভিড নীতির ফলে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে চীন।
আরো পড়ুন: চীনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মসজিদ ধ্বংসের প্রচেষ্টা; স্থানীয়দের বিক্ষোভ
গত মার্চ মাসে, চীনা কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অ্যাস্টেলাস ফার্মার একজন জাপানি কর্মচারীকে আটক করে। ২০১৪ সালে পালটা গুপ্তচরবৃত্তি আইন চালু হওয়ার পর থেকে তিনি চীনে গ্রেফতারকৃত ১৭ তম জাপানি নাগরিক।
মঙ্গলবারের বৈঠকে শি বলেন, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনকে অবশ্যই সক্রিয়ভাবে সুরক্ষিত বাহ্যিক পরিবেশ গঠন করতে হবে।
এম এইচ ডি/আইকেজে
খবরটি শেয়ার করুন