সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাদওয়ান মুজিবের জন্মদিনে দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের শুভেচ্ছা

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ২১শে মে ২০২৩

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় চার কোটির বেশি তরুণ। তাদের হাত ধরেই গড়ে উঠছে ভবিষ্যৎ উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন। এই তরুণদেরই একটি অংশ দেশ গঠনে, নিজ সমাজের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন সময়ে। তাদের অনেকের কাছেই মেন্টর ও অনুসরণীয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র ও সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।

 ‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে তরুণদের হাতে হাত রেখে দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, লেটস টকসহ অনেক কার্যক্রমের মাধ্যমে।

রোববার (২১ মে) তার জন্মদিনে এই তরুণ সংগঠকদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের জন্য রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা স্মরণ করেও প্রশংসা করছেন অনেকেই।

রাদওয়ান মুজিব তরুণদের নিয়ে যেভাবে ভাবেন, যেভাবে স্বপ্ন দেখেন, যেভাবে পরিশ্রম করেন; সেটি তরুণ সংগঠকদের সাহস জোগায় বলে মনে করেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ও ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার ২০২০’ পাওয়া সাদাত রহমান। স্কুলজীবন থেকে সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া এই তরুণ বলেন, ‘তার (রাদওয়ান) জন্মদিনে তাকে অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা তার দেখানো স্বপ্নের পথে হেঁটে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম নালিশ করে না, তারা সমস্যার সমাধান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের তরুণদের প্রতি যেই ভরসা তিনি রেখেছেন। আমরা সেটা পূরণ করতে চাই।’

এ সময় রাদওয়ান মুজিবের ইয়াং বাংলা কার্যক্রম প্রসঙ্গ তুলে ধরে সাদাত বলেন, ‘উনি যেভাবে আমাদের দেখেন। সবসময় আমাদের কাজগুলো ফলো করেন। শুধু তা-ই নয়, আমরা যখন ভালো কিছু করি, তিনি নিজে তার প্রোফাইলে শেয়ার দেন। এটা আমাদের তরুণদের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। আর জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট বা লেটস টক–এ ধরনের আয়োজন শুধু আমাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছে না, এটি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকেও অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। তারাও এগিয়ে আসছে। আমি বলতে পারি, আমার ৫-৬ বছর আগের প্রজন্মের জন্য এমন কোনো সুযোগই ছিল না। তাই জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, আমার মতো এমন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকার জন্য।’

রাদওয়ান মুজিব তরুণ সংগঠকদের কাছে এক অনুপ্রেরণা বলে জানান ২০১৮ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ‘ভ্রমণকন্যা: দ্য ট্রাভেলেস অব বাংলাদেশ' সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মানসী সাহা। তিনি বলেন, ‘তখন মাত্র দু-বছর হলো আমরা কাজ শুরু করেছি। সেটাও বেশ ছোট পরিসরে। আসলে আমরা তখন কল্পনাও করিনি, জাতীয় পর্যায়ের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে এমন একটি অ্যাওয়ার্ড পাব। রাদওয়ান মুজিব তরুণদের জন্য যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তা নিঃসন্দেহে আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

রাদওয়ান গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি। সিআরআইয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন তিনি। ইয়াং বাংলার সদস্যরা তাকে ‘মেন্টর’ হিসেবে দেখে থাকেন।
তরুণদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবং তাদের কর্মক্ষেত্র ও কর্মপরিসর আরও বাড়ানোর জন্য সংঘবদ্ধ করার উদ্যোগ হিসেবে রাদওয়ান সিদ্দিকের পরিকল্পনায় ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে ইয়াং বাংলা। এরপর দেশের তারুণ্যের সর্ববৃহৎ এই প্ল্যাটফর্মের প্রথম উদ্যোগ হিসেবে তরুণ সংগঠকদের প্রদান করা হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের প্রেরণায় তরুণদের উদ্ভাসিত করতে তার হাত ধরেই শুরু হয় জয় বাংলা কনসার্ট।
বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশের পর শিশু-কিশোর ও তরুণদের কাছে তার ঘটনাবহুল জীবন নতুনরূপে তুলে ধরার জন্য বইটিকে গ্রাফিক নভেলে রূপ দেয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাফিক নভেল হলেও বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার দুই মেয়ে কীভাবে জীবনসংগ্রাম করেছেন, সেসব ঘটনা নিয়ে ডকুড্রামা ‘হাসিনা: আ ডটার টেইল’ নির্মাণের নেপথ্যে ছিলেন রাদওয়ান।

হোয়াইটবোর্ড নামে একটি ত্রৈমাসিক নীতিনির্ধারণী সাময়িকী সম্পাদনার দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।
পেশাগত জীবনে রাদওয়ান একজন স্ট্র্যাটেজি পরামর্শদাতা। তিনি স্ট্র্যাটেজি ও যোগাযোগ বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও সরকারি সংস্থাকে পরামর্শ দেন।

আরো পড়ুন: দুদিনের সফরে সোমবার কাতার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খ্যাতিমান ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার ডেভিড ফ্রস্টের বিখ্যাত অনুষ্ঠান ‘ফ্রস্ট ওভার দ্য ওয়ার্ল্ড’-এ সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয় রাদওয়ান মুজিবের। তখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা কারাগারে ছিলেন। ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া রাদওয়ান মুজিবের ওই সাক্ষাৎকার সে সময় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং শেখ হাসিনার মুক্তি ও জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের জন্য আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টিতে সহায়তা করেছিল।

এম/

 

Important Urgent

খবরটি শেয়ার করুন