সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লন্ডনে ওয়েবিনারে তিব্বতিদের উপর চীনের ঘৃণ্য নীতি নিয়ে আলোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, ২৭শে এপ্রিল ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে গত সোমবার ডেমোক্রেসি ফোরাম ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ৭২ বছর ধরে চীনা ঔপনিবেশিক শাসনে থাকাকালীন তিব্বতিদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া চীনা নীতিগুলো তুলে ধরা হয়। বিশেষজ্ঞরা ওয়েবিনারে তিব্বতিদের উপর অত্যাচারী চীনা শাসনের কথা আলোচনা করেন।

লন্ডন ভিত্তিক এনজিও দ্য ডেমোক্রেসি ফোরাম একটি ভার্চুয়াল বিতর্কের আয়োজন করে। বিতর্কের বিষয় ছিল, "তিব্বতে চীনা ঔপনিবেশিক শাসনের বাহাত্তর বছর।" ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে ধ্বংসের মাধ্যমে চীনের আধিপত্য বিস্তারের পন্থা উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করে। এছাড়াও এটাও প্রমাণিত হয় যে তিব্বতিদের প্রতি পশ্চিমা বিশ্ব ঠিক কতোটা উদাসীন।

সেরিং বলেন, তিব্বতের আন্দোলন এখনও বেশ শক্তিশালী। ৭২ বছর আগে, যুদ্ধের হুমকি প্রদান করে জোরপূর্বক তিব্বতিদের সতেরো দফা চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য করা হয়। দালাই লামা প্রায় আট বছর ধরে এ চুক্তি মেনে চলার চেষ্টা করলেও ১৯৫৬ সালে চীনের আসল চেহারা প্রকাশ পায়। বর্তমানে ভারতে বসবাসরত দালাই লামা প্রায়ই চীনের সাথে গণতান্ত্রিক ভারতের তুলনা করেন।

৭২ বছর ধরে চীন তিব্বতিদের জীবনধারা, ধর্ম, পরিবেশ, সংস্কৃতির উপর আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্যের আশায় এবং নিজেদের দুর্দশা সহ্য করতে না পেরে অনেক তিব্বতি তরুণেরা আত্মহননের পথ বেছে নেয়। তবে তাদের এ আত্মত্যাগ এখনও পর্যন্ত বৃথা বলে প্রমাণিত হয়েছে।

টিডিএফ প্রেসিডেন্ট, লর্ড ব্রুস সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে বলেন, বিগত ৭২ বছর ধরে ৬৭ লাখ তিব্বতিদের জীবনের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে চীনারা। পৃথিবীতে মুক্ত দেশ হিসেবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে তিব্বত। এর অবস্থান উত্তর কোরিয়ার চেয়েও খারাপ এবং দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়ার সমতুল্য।

আরো পড়ুন: বেকারত্ব বৃদ্ধিতে সামাজিক অস্থিতিশীলতার মুখে চীন

৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, তিব্বতকে চীনের অধীনে রাখার জন্য বারবার জাতিসংঘে সমালোচনার সম্মুখীন হয় চীন৷ এ বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন প্রস্তাব পাস করাও হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় কীভাবে চীন তিব্বতের ভাষা, ধর্ম, জীবনাচরণ এবং সমগ্র ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে। দশ লাখেরও বেশি তিব্বতি শিশুদেরকে তাদের সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং তাদের নিজের পরিবার থেকে জোরপূর্বক দূরে রাখা হয়।

তিব্বতের অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের কো চেয়ারম্যান, ক্রিস ল এমপি বলেন, জিনজিয়াংকে চীনা সরকার তিব্বতিদের নিপীড়নের জায়গা হিসেবে গড়ে তুলেছে। ৪ থেকে ৬ বছর বয়সী তিব্বতি সন্তানদের সেখানে নিয়ে গিয়ে শিক্ষা প্রদানের নামে চীনা সংস্কৃতি ও ভাষার শিক্ষা প্রদান করা হয় এবং তাদেরকে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষা থেকে দূরে রাখা হয়। যখন তারা নিজের মানুষদের কাছে ফিরে আসে তখন পিটিএসডি এর সংক্রমণের কারণে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।

গত ২০ বছরে চীনের এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য তিব্বতিদের ক্ষমতা স্পষ্টভাবে হ্রাস পেয়েছে।

এমএইচডি/ আই. কে. জে/

লন্ডন ওয়েবিনার তিব্বত চীন

খবরটি শেয়ার করুন