সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাইসেন্সধারী মদ্যপায়ীর তথ্য জানতে চেয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৯ অপরাহ্ন, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

মাদক-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে লাইসেন্সধারী অ্যালকোহলসেবীদের ব্যাপারেও জানতে চেয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)। এ-সংক্রান্ত একটি চিঠির বরাত দিয়ে বৈধ মদ ব্যবসায়ীদের কাছে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে মাদকদ্রব্য-সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ না হয়েও ‘গোপনীয়’ বিবেচিত তথ্য জানতে চাওয়ায় এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি তথ্যের অপব্যবহারের আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।

এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২১ থেকে ৩০তম বৈঠকের বরাত দিয়ে তথ্য চাওয়া হলেও সভার কার্যবিবরণী যাচাই করে তেমন কিছু মেলেনি।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদরদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের পর মন্তব্য করবেন বলে জানান। বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মেজর (অব.) এম জাহাঙ্গীর হোসেইন বলেন, লাইসেন্সধারী মদ্যপায়ীদের বিষয়টি গোপনীয় হিসেবেই বিবেচিত।

এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার (স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) স্বাক্ষরিত ২৯ আগস্টের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি জেলা/ইউনিটে লাইসেন্সধারী এবং লাইসেন্সবিহীন মদ ও মাদক কারবারিদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের নজরদারি ও নিরীক্ষণ করে এ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। মাদক স্পট ও তার আশপাশের রাস্তাসহ অন্যান্য জায়গা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।

চিঠিতে তথ্য সরবরাহের জন্য একটি ছক দেওয়া হয়েছে। সেখানে লাইসেন্সধারী মদ ক্রেতা/ভোক্তার সংখ্যা, লাইসেন্সধারী মদ বিক্রির দোকানের সংখ্যা, প্রতি মাসের কেনাবেচার হিসাব, লাইসেন্সধারী ও ভোক্তার সঙ্গে পরিমাণ সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা ইত্যাদি জানতে চাওয়া হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর ধারা ৬১(১) অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকাসক্ত ব্যক্তির তালিকা তৈরি করতে পারবে। অ্যালকোহল বিধিমালা ২০২২-এর বিধি ৭ অনুযায়ী লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ, অর্থাৎ মদ এবং মাদক কেনাবেচার তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।

অর্থাৎ লাইসেন্সধারী মদ ব্যবসায়ীদের থেকে মদ এবং মাদক-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের এখতিয়ার শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের।

এমন পরিস্থিতিতে এসবি তথ্য চাওয়ায় বৈধ মদ ব্যবসায়ীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন। বিষয়টির সুরাহা চেয়ে চিঠিও দিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

আরো পড়ুন: ঘুসের হার নির্ধারণ করা এসিল্যান্ড মাসুদুর সাময়িক বরখাস্ত

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, লাইসেন্সপ্রাপ্ত বারে যারা পারমিট নিয়ে মদ পান করেন, তারা কেউ মাদকাসক্ত নন। তারা ধর্মীয়/সামাজিক রীতিনীতির কারণে বা শারীরিক প্রয়োজনে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণে মদ পান করেন, যা আইন অনুযায়ী মাদকাসক্তি নয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২০০২ সালের ১৬ জুন তারিখের এক চিঠিতে বলা হয়, মদ্যপান আমাদের সমাজে এখনও গোপনীয় ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে পারমিটধারী মদ্যপায়ীদের তালিকা কাউকে দেওয়া সমীচীন হবে না।

এসি/ আই. কে. জে/


পুলিশ লাইসেন্সধারী মদ্যপায়ী

খবরটি শেয়ার করুন