ছবি: সংগৃহীত
যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে শিমলা জাতের মরিচ শাষ করে সফলতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মানিক রাজা (২৪) নামের এক যুবক। করোনা মহামারির মধ্যে প্রবাস থেকে দেশে এসে আর ফিরতে না পেরে শুরু করেন মরিচ চাষ। মাত্র ৪ লাখ টাকা ব্যয় করে দুই বিঘা জমিতে শিমলা মরিচের চাষ করে মুনাফা লাভ করেছেন প্রায় ১২ লাখ টাকা। এখন গোটা এলাকার আইকন সফল উদ্যোক্ত্যা মানিক রাজা।
শিমলা মরিচ ক্যাপসিকামের একটি অন্যতম জাত। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয় এছাড়াও বিভিন্ন চাইনিজ খাবারে সালাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি দেখতে মরিচের মতো।
উদ্যেক্ত্যা মানিক রাজা জানান, এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর সংসারের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পাড়ি জমান মালয়েশিয়া। করোনা মহামারির সময় প্রবাস থেকে দেশে ফিরে নানা প্রতিকূলতার কারণে নিজ কর্মস্থলে আর ফিরতে পারেন না তিনি। এমন সময় ভারতের পুনে থেকে কিছু সংখ্যাক শিমলা বীজ সংগ্রহ করে বাবার ১০ শতক পতিত জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেন।
আরো পড়ুন: বেকারত্ব দূর করতে পারে মৌমাছি পালন
মানিক রাজা বলেন, আমি আমার ভাগ্যের বদল ঘটিয়েছি। আমার ইচ্ছা শক্তি আর মনোবল আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমি দেশে ফেরার পর আর প্রবাসে যেতে পারছিলাম না। যেতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। এমন সময় আমি ভাবলাম নিজের জমিতে কিছু একটা চাষ করি। সেই চিন্তা ভাবনা থেকে নিজেদের জমিতে চার লাখ টাকা ব্যয়ে শিমলা মরিচের চাষ করি।
তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ শুরু থেকে আমাকে অনেক সহোযোগিতা করেছে, যার ফলে আজ আমি এ চাষে সফল হয়েছি। চার লাখ টাকা জমিতে ব্যয় করে আমি ৮ লাখ টাকা লাভ করেছি। আরও ৮ লাখ টাকার মরিচ আমার ক্ষেতে রয়েছে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আবু তালহা বলেন, মানিক রাজার শিমলা মরিচ ক্ষেত আমরা পরিদর্শন করেছি। শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ তাকে সহায়তা করেছে। তিনি এ চাষে আশার থেকেও অনেক বেশি সফল হয়েছেন। আমরা আশা করছি যশোরে এই শিমলা মরিচ চাষ আরও বৃদ্ধি করা যাবে। কৃষি বিভাগ কৃষিতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কাজ করে চলছে।
শিমলা মরিচ চাষে আগ্রহী চাষিরা মানিক রাজার কাছ থেকে সকল ধরনের সহোযোগিতা পাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা মানিক রাজা। তিনি এ চাষে কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন আগ্রহী চাষিদের।
এসি/আইকেজে