ছবি : সংগৃহীত
দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আগামী পহেলা জানুয়ারি থেকে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের যে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল সেটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯শে ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের মেহেরাব প্লাজায় অবস্থিত সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের (এসএসপি) অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক এ এ এম ফয়েজ হোসেন।
আরো পড়ুন: আজ বরিশালে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে অনিবার্য কারণে ১ জানুয়ারি থেকে ঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। ধর্মঘটের পরবর্তী সময়সূচি পরে জানানো হবে। আমরা আশা করছি ধর্মঘট শুরুর আগেই সরকার ও মালিকদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া হবে।’
‘শ্রমিকদের বুকচাপা কান্না আর অসহায় দীর্ঘশ্বাসে বাতাস ভারি হচ্ছে। পরিস্থিতি দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়েছে। এ অবস্থায় গত পহেলা ডিসেম্বর আমরা সরকারকে যে আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, সেই বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। আমরা শ্রমিক শ্রেণির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এবং সমাজের জ্ঞানী-গুণীদের কাছে শ্রমিকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দিকনির্দেশনা চাই। পুরো সিভিল সোসাইটির সমর্থন প্রত্যাশা করছি।’
ধর্মঘট স্থগিতের পেছনে সরকার থেকে কোনো চাপ আছে কি না বা দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এই শ্রমিক নেতা বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা সেই চাপে আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করিনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে সংঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া গার্মেন্টগুলোর সামনে মালিকদের সন্ত্রাসী বাহিনী অবস্থান করছে। ধর্মঘটের কারণে শ্রমিকদের জীবন যাতে ঝুঁকিতে না পড়ে, তাই আমরা আপাতত আমাদের ধর্মঘট স্থগিত করছি। আমাদের সঙ্গে মালিক পক্ষ বা সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি।’
এইচআ/ আই.কে.জে/