প্রতীকী ছবি
পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২০২২ সালে মোট ৫৩৩ জন নিহত হয়েছে এবং ২২১০টি নিখোঁজের ঘটনা এখন পর্যন্ত অমীমাংসিত রয়েছে।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা যায়, বেলুচিস্তান (২১১৫) এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় (৩৩৬৯) সর্বাধিক নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের বন্যায়, ৩৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দরুণ এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি।
বছরের পর বছর ধরেই, এইচআরসিপির এই বার্ষিক প্রতিবেদনে দেশের নারীদের করুণ চিত্র উঠে আসে। ২০২২ সালের রিপোর্টেও দেখা যায়, দেশে ধর্ষণ এবং গণধর্ষণের শিকার ৪২২৬ জন নারী।
এইচআরসিপির রিপোর্ট দেশের ভবিষ্যতের জন্য কোনও আশাবাদ ব্যক্ত করে না।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে দেশের নাগরিকদের জীবনযাত্রাও ক্রমশ নিম্নগামী। দেশের জলবায়ু পরিবর্তন সংকট এবং তৃতীয় লিঙ্গদের উপর ক্রমবর্ধমান নিপীড়ন প্রকাশ করার পাশাপাশি রিপোর্ট দেখায় যে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব কি করে দেশটিকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে।
তবে দেশে কিছু প্রগতিশীল আইন রিয়েছে বলেও জানায় এইচআরসিপি।
শিশুনির্যাতন এবং বাল্যশ্রম বন্ধে প্রগতিশীল আইন দেশে বিদ্যমান। তাছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সুরক্ষা আইন ২০১৮ সালে পাশ হয়।
প্রতিবেদনে রাজনৈতিক বিরোধ, রাষ্ট্রদ্রোহ, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীদের উপর নির্যাতন, কবরস্থান ধ্বংস, সন্তাসবাদের পুনরুত্থান ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়। তাছাড়া দেশের জনগণের মধ্যে বাকস্বাধীনতা, সমাবেশ ও বাসস্থানের মতো মৌলিক অধিকারের অভাব পরিলক্ষিত হয়।
খবরটি শেয়ার করুন