ছবি: সংগৃহীত
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। বাছাইয়ে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বাকি ২৮১ জনের মধ্যে কেবল একজন নারী।
এর আগে ২০০২ সালে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর যে চারবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এ পদে কখনোই নারী প্রার্থী ছিলেন না। আগামী ২১ জুন এ সিটিতে পঞ্চমবারের মতো ভোট হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে রোকসানা বেগম একমাত্র নারী প্রার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত চারটি নির্বাচনে আইনজীবী রোকসানা বেগম সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অংশ নিয়ে তিনবার বিজয়ী হন। পরে প্রতিবারই তিনি প্যানেল মেয়র হন। ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রোকসানা মহানগর মহিলা দলের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া তিনি সদ্য সাবেক মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কও ছিলেন। তাঁর স্বামী এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।
রোকসানা বেগম বলেন, তিনবার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও সাধারণ আসনে নির্বাচিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মতো পর্যাপ্ত বরাদ্দ বা সুযোগ-সুবিধা থেকে তিনি বঞ্চিত ছিলেন। এ কারণে এলাকার উন্নয়নে প্রত্যাশামতো কাজ করতে পারেননি। ফলে এবার সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন। বিজয়ী হলে এলাকাবাসীর সুচিন্তিত পরামর্শে এক আদর্শ ওয়ার্ড গড়ে তুলবেন।
বিএনপির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে সংক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা বলেন, ‘কাউন্সিলর পদে বিএনপির আরও অনেকে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আমিও করব। আর তাঁরা যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে আমিও সরে দাঁড়াব।’
এসি/ আই. কে. জে/
আরো পড়ুন: ৫৫ হাজার বেতনে চাকরির সুযোগ
খবরটি শেয়ার করুন