সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাধারণ ঠান্ডা-কাশি নাকি নিউমোনিয়া বুঝবেন কোন লক্ষণে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৯ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহীত

আমাদের অনেকেই শীতে হওয়া ঠান্ডা-কাশিকে সাধারণ ফ্লু ভেবে গুরুতর সব সমস্যাকে অবহেলা করেন। যেমন- কোভিড ১৯ কিংবা ফুসফুসের সংক্রমণেও কিন্তু দেখা দিতে পারে ঠান্ডা-কাশি, জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্টের লক্ষণ।

ফুসফুসজনিত অসুখে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। নিউমোনিয়ার পাশাপাশি আছে অ্যাজমা, সিওপিডি এগুলোও কিন্তু বেশ জটিল ফুসফুসের ব্যাধি।

বিশেষ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবুও এই রোগ নিয়ে বিশেষ সতর্কতা নেই অনেকের মধ্যেই।

নিউমোনিয়া কী?

ফুসফুসে কোনো ইনফেকনশন বা সংক্রমণ হলে বলা হয় নিউমোনিয়া। এক্ষেত্রে ফুসফুসে বায়ুপ্রবাহের নানা জায়গায় জমতে পারে তরল ও পুঁজ। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কফ জমে।

বিভিন্ন কারণে হতে পারে নিউমোনিয়া। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে ভাইরাস, ফাঙ্গাসের কারণে এই রোগ বেশি করে দেখা দিচ্ছে।

কাদের ঝুঁকি বেশি?

১. যাদের বয়স ৬৫ পেরিয়েছে

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম

৩. ডায়াবেটিসি

৪. হাই প্রেশার

৫. ক্যানসার কিংবা

৬. এইচআইভি’র রোগীদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি।

উপসর্গ:

এই প্রসঙ্গে মায়োক্লিনিক বলছে, নিউমোনিয়ার উপসর্গ মৃদু থেকে শুরু করে ভীষণ গুরুতর হতে পারে। কী ধরনের জীবাণু, ফুসফুসের কতটা অংশে সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করেই লক্ষণ দেখা দেয়।

এ কারণে একেকজনের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো-

১. কাশি বা শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা

২. বিভ্রান্তি

৩. কাশির সঙ্গে কফ ওঠা

৪. ক্লান্তিতে ভোগা

আরো পড়ুন : শরীরে কোন রোগ থাকলে পালং শাক না খাওয়াই ভালো

৫. কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হতে পারে

৬. শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে

৭. তীব্র শ্বাসকষ্ট

তবে নবজাতকের শরীরে এই ইনফেকশনের তেমন উপসর্গ দেখা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে বমি, জ্বর, কাশি কিংবা ক্লান্তি থাকতে পারে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?

শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, জ্বর ১০২ ডিগ্রির বেশি, কাশির সঙ্গে পুঁজ বের হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

এছাড়া বয়স ৬৫ এর বেশি হলে ও শিশুর বয়স ২ বছরের নিচে হলে কিংবা ইমিউনিটি দুর্বল, কমোথেরাপি চললে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

নিউমোনিয়ার চিকিৎসা কী?

ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক। ফাঙ্গাসের কারণে হলে অ্যান্টিফাঙ্গাল। ভাইরাস থেকে সংক্রমণ হলে প্রয়োজনে অ্যান্টিভাইরাল দেওয়া হয়।

সূত্র: এনএইচএস/মায়োক্লিনিক

এস/ এসি

নিউমোনিয়া ঠান্ডা-কাশি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন