বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লটকন চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪২ অপরাহ্ন, ২৮শে মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লটকন চাষ। উৎপাদন খরচ কম ও বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। আর লটকন চাষে সব ধরনের সহায়তার কথা জানায় কৃষি বিভাগ।

পাহাড়ি এলাকার লালমাটিতে রোপণ করা প্রতিটি গাছে ঝুলছে শত শত লটকনের থোকা। গাছের গোড়া, কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা সব জায়গায় ঝুলে আছে লটকন। খেতেও সুমিষ্ট ও রসালো ফল লটকন। তাই স্থানীয় ও জেলার বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে লটকনের।

টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ডে পরপর দুই দফা অগ্নিকাণ্ডের পর নতুন করে কোনো ফলদ গাছের বাগান করতে পারেননি সেখানকার চাষিরা। পরে ২০০৫ সালে নরসিংদী থেকে লটকনের চারা এনে লাগাতে শুরু করেন তারা। কয়েক বছরের মধ্যেই গাছে লটকন ধরে, বিক্রিও হয় ভালো। সেই থেকে শুরু হয় লটকন চাষ। বর্তমানে টেংরাটিলা গ্রামে ছোট-বড় ১০টি লটকনের বাগান রয়েছে।

আরো পড়ুন: সিলেট সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে একমাত্র নারী রোকসানা

লটকন চাষে সার কীটনাশক ও শ্রমিক কম লাগে। সারা বছর খাটাখাটুনি লাগে না। কেবল ফল ধরার আগে বাগানে পরিচর্যা করতে হয়। একটি গাছ থেকে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা ও সর্বনিম্ন এক হাজার টাকার লটকন বিক্রি করা যায়। দোয়ারাবাজার উপজেলার ২০০ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে লটকন চাষের উপযোগী হলেও মাত্র ২০ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ হচ্ছে। অন্যান্য জমিতে সবজি, লেবু ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলদ গাছের বাগান করছেন কৃষকরা। খরচ কম ও লাভ বেশি তাই এলাকায় লটকনের বাগান সম্প্রসারিত হচ্ছে।

সুরমা ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র রায় বলেন, লটকনের চাষ লাভজনক ও ঝুঁকিমুক্ত। টেংরাটিলা আজবপুর গ্রামের ১০টি লটকন বাগানে চার হাজার লটকন গাছ রয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগ বাগান মালিকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে।

এম/


 

জনপ্রিয় লটকন

খবরটি শেয়ার করুন