প্রতীকী ছবি
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিন ছাত্রীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসানকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রবিউল হাসান হাসান সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক।
রবিবার (২০ আগস্ট) রাতে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা শেষ করে বের হয় তিন ছাত্রী। এ সময় তাদের পিছু নেন ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান ও তার সহযোগীরা। একপর্যায়ে তারা নানাভাবে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদ করলে তারা ছাত্রীদের চরথাপ্পড় ও লাথি মারেন। পরে ছাত্রীরা দ্রুত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। রবিউল ও তার সহযোগীরা অটোরিকশার পিছু নেন। অটোরিকশার গতি রোধ করে ছাত্রীদের নামিয়ে আবারও মারধর করেন তারা। ছাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় গত শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে ভুক্তভোগী এক ছাত্রী বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় রবিউল হাসানসহ চারজনের নামে মামলা করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন রবিউলের সহযোগী মো. তুষার, মো. মুরাদ ও মো. ফারুক। এ ঘটনায় সংবাদ প্রচারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক ছিলেন। গতকাল রাতে রবিউল ও তার সহযোগীরা এলাকা ছেড়ে ঢাকা-চট্টগ্রামে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফেনী শহরে যান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের ট্রাংক রোডের একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে রবিউলকে আটক করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।
এদিকে সোমবার (২১ আগস্ট) আসামী রবিউলকে আদালতে হাজির করা হবে এবংপুলিশ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম।
এম.এস.এইচ/