সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চীনের প্রস্তাব, উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:১০ অপরাহ্ন, ২৬শে আগস্ট ২০২৩

#

প্রতীকী ছবি

সৌদি আরবে পারমাণবিক  বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র সাড়া না দেওয়ায় চীনের একটি প্রস্তাব  বিবেচনা করছে রিয়াদ। এ নিয়ে ওয়াশিংটন প্রশাসন উদ্বিগ্ন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সৌদি কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশন (সিএনএনসি) কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সীমান্তের কাছে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে রিয়াদকে।

এব্যাপারে জানার জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সিএনএনসি এবং চীন ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করলেও কোন সাড়া পায়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে সৌদি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, দেশটিতে চীনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাবের ফলে জো বাইডেন প্রশাসন রিয়াদকে নিজস্ব ইউরেনিয়াম মজুত না করার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করবে। একই সাথে নতুন পারমাণবিক শিল্পকে সহায়তা করতে পারে এমন শর্তগুলোকে শিথিল করতেও চাপ দিতে পারে বাইডেন প্রশাসন। মূলত পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করার উদ্দেশ্যেই এসব শর্তারোপ করবে ওয়াশিংটন।

এদিকে সৌদি আরব ও চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করেছে। এতে ওয়াশিংটনের উদ্বেগ বেড়েই চলছে। সৌদিতে চীনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণেও উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রশাসন। 

গত বছর ডিসেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সৌদি আরব সফর করেছিলেন। এছাড়া এবছর জুন মাসেও রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব-চীন বাণিজ্যিক সম্মেলনে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ঘোষণা করেছে দুই দেশ।

সাম্প্রতিক সময়ে চীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রযুক্তি বিদেশে রপ্তানির চেষ্টা করছে। ২০১৯ সালে এক সিনিয়র চীনা কর্মকর্তা বলেছিলেন, “বেইজিং পরবর্তী দশকে  ৩০টি দেশে পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করতে পারে।”

এছাড়া দিনের পর দিন মধ্যপ্রাচ্যে  চীন নিজের কূটনৈতিক উপস্থিতি বাড়িয়েই চলছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরব ও ইরানের মাঝে একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করে চীন। এ চুক্তির মাধ্যমে বহু বছরের শত্রুতার পর সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।

সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে কয়েক বছর ধরে দেশটি একটি দেশীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্প বিকাশের পথ খুঁজছে। 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, সৌদি আরব নিজেদের উত্তোলনকৃত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে নিজেদের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। 

এম.এস.এইচ/

বিদ্যুৎ কেন্দ্র সৌদি-চীন ওয়াশিংটন বেইজিং রিয়াদ

খবরটি শেয়ার করুন