ছবি-সংগৃহীত
নিজের বাড়ি সাজাতে আমরা কে না ভালোবাসি। বিশেষ দিনে তো বটেই সাধারণ আর দশটা দিনেও আমরা সবকিছু ছবির মতো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসি। বাড়ির সবচেয়ে একান্ত জায়গা হলো আমাদের শোবার ঘর। দিনের ক্লান্তি মুছে ফেলার জন্য এই ঘরটির রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।
বিছানায় ভালো একটা চাদর, আসবাবপত্র একটু এদিক-সেদিক করে সাজানো, ফুলদানিতে তাজা ফুল, পর্দাগুলো বদলে দেয়ার মাধ্যমে আমরা শোবার ঘরটার একটা উজ্জ্বল রূপ ফুটিয়ে তুলতে চাই।
ছোটখাটো কিছু কাজের মাধ্যমে শোবার ঘরকে আরামদায়ক করে তুলতে পারেন সেজন্য দেয়া হলো কয়েকটি টিপস।
শোবার ঘরটি আপনার সবচেয়ে ব্যক্তিগত জায়গা। আপনার আবেগ, আগ্রহ, আন্তরিকতা এসব কিছুর চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে শোবার ঘরে। এমন বেডশিট নির্বাচন করুন যা আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই।
বিভিন্ন আকার এবং আকৃতির কুশন এবং বালিশ এতে ছড়িয়ে রাখুন। মেঝেতে ছোট্ট কার্পেট বা শতরঞ্জি বিছিয়ে দিতে পারেন।
বিছানা নির্বাচনে আরামকে প্রাধান্য দেবেন। কাঠের খাটের ফ্যাশন কখনো চলে যায় না এবং বাস্তুশাস্ত্র মতেও এটা সবচেয়ে ভালো। তবে খাটের নিচে কখনো বেশি জিনিসপত্র জমিয়ে রাখতে যাবেন না। কাঠ এবং মেটালের সমন্বয়ে তৈরি খাট এখনকার ফ্যাশন।
ঘরের আয়তনের ওপর নির্ভর করে কিছু জায়গা বসার জন্য নির্ধারণ করবেন। আসবাবপত্র এবং ঘরের অন্যান্য এক্সেসরিজও ঘরের আয়াতন বুঝে নির্বাচন করবেন। ঘরে আলোর ব্যবহার একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কাজের জন্য বড় টিউব লাইট থাকলেও ঝোলানো শেড, বেড সাইড টেবিল বা ফ্লোর ল্যাম্প দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন। এতে আপনার মুড ও প্রয়োজন অনুযায়ী আলো কম-বেশি ব্যবহার করতে পারবেন।
শোবার ঘরের দেয়ালকে সঠিকভাবে অলঙ্করণ করুন। জীবনের স্মরণীয় কোনো মুহূর্তের ছবি যা আপনি আপনার শোবার ঘরের দেয়ালে টাঙাতে পারেন।
মানসিকভাবে শান্তি পান এমন ছবি, পেইন্টিংসহ অন্যান্য শিল্পকর্ম দিয়েও দেয়াল সাজাতে পারেন। সবসময় এমন কিছু নির্বাচন করুন যা আপনার ঘরের ব্যক্তিত্ব তুলে ধরবে।
শোবার ঘরে এক্সেসরিজ ব্যবহার করুন। এখানে-সেখানে দু'এক টুকরো শোপিস ঘরের সৌন্দর্যে বাড়তি মাত্রা যোগ করে। ঘরের চারপাশে মোমবাতি এবং গাছ বা ফুল দিয়ে সাজিয়েও রোমান্টিক একটা পরিবেশ আনতে পারেন।
ঘরের পরিপূর্ণতা আনতে একটা সেলভিং ইউনিট একান্ত প্রয়োজন। এটা হতে পারে একটা বুক শেলফ কিংবা টিভি কেবিনেট। আসলে এটা নির্ভর করবে ঘরটির আয়তনের ওপর। জায়গা ছোট হলে টিভি কেবিনেট কাম বুক শেলফ হতে পারে।
আরো পড়ুন: সহজেই বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে ফেলুন
জানালার পর্দা এমন পছন্দ করুন যা ঘরে একটা আরামদায়ক আবহ তৈরি করবে। তবে খেয়াল রাখবেন জানালার পর্দা যেন সরানো যায় এবং ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢোকে।
ঘরের সৌন্দর্য অনেকটা নির্ভর করে পরিচ্ছন্নতার ওপর। তাও নিয়মিত ঘরের ফ্যান, এসি পরিষ্কার করুন। প্রত্যেকটি আসবাবপত্রের প্রতিদিনের ধুলোবালি ঝেড়ে ফেলুন। ঘরে গাছ থাকলে সেগুলোতে পোকামাকড়ের আনাগোনা যেন না থাকে সেটা খেয়াল রাখুন।
এসি/ আই.কে.জে/