ছবিঃ সংগৃহীত
নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে ঘটা চুমুকাণ্ডের জের ধরে বেশ বিপাকেই ছিলেন স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। এক চুমুকাণ্ডেই যেন সব হারাতে বসেছেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান। তার পদত্যাগের জোর দাবি উঠেছে। যদিও নিজে থেকে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
তবে পদ ধরে রাখার চেষ্টায় এখন পর্যন্ত সফল হলেও ফিফার শাস্তি থেকে রেহাই মিললো না রুবিয়ালেসের। শনিবার (২৬ আগস্ট) ফিফা এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে স্প্যানিশ ফুটবল প্রধানকে সব ধরনের ফুটবল সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে।
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আজ থেকেই। প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে।
গত রোববার বিশ্বকাপ ফাইনালের পরই চুমু-বিতর্ক ঘটে। সোমবার ওই ঘটনার জন্য ফিফার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন রুবিয়ালেস। কিন্তু তা গ্রহণ করেনি ফিফা। বৃহস্পতিবার রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ফিফা। আজ রায় এলো।
শুধু ফুটবলার জেনি হারমোসোকে চুমু দেয়ার কারণেই নয়, স্পেনের বিজয়ের মুহূর্তে স্প্যানিশ রাণী এবং তার ১৬ বছরের মেয়ের সামনে নিজের গোপনাঙ্গ ধরে বাজেভাবে অঙ্গভঙ্গি করেন রুবিয়ালেস। এমন বাজে কাজের জন্যও তদন্তের মুখোমুখি তিনি।
স্পেন ফুটবল প্রধানের দাবি হারমোসোর অনুমতি নিয়েই তাকে চুমু দিয়েছিলেন তিনি। রুবিয়ালেস বলেন, ‘হারমোসো পেনাল্টি মিস করেছিলো। তাই আমি ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম। বলছিলাম ভুলে যাও পেনাল্টির কথা। জিজ্ঞেস করেছিলাম তাকে আমি চুম্বন করতে পারি কি না। ও রাজি ছিল। হঠাৎ করেই হয়েছিল পুরো ঘটনাটা। তবে সম্মতি নিয়েই হয়েছিল। এরপরও আমাকে ফাঁসানো হবে? আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।’
যদিও হারমোসো ওই সময় জানিয়েছিলেন যে, রুবিয়ালেস তাকে চুম্বন করায় তিনি বিরক্ত। শুধু হারমোসোকে চুমু খাওয়াই নয়, রুবিয়ালেস নিজের যৌনাঙ্গ ধরে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেও বিশ্বকাপ জয় উদ্যাপন করেছিলেন। যার জন্য শুক্রবার ক্ষমা চান তিনি।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন