ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রকাশ্য নিলামে ভারত থেকে আমদানিকৃত ২৮ হাজার ৪০ কেজি (২৮ টন) হিমায়িত মহিষের মাংসের সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৮ লাখ টাকা। কেজি হিসেবে ২৮ টাকা ৫৩ পয়সা! পাহাড়তলী জাকির হোসেন রোডের ডা. অলী আহমদের বাড়ির মো. সোহেল রানা সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন।
এসব মাংসের মেয়াদ আছে আর মাত্র ৯ দিন। নিলামে চট্টগ্রাম কাস্টমস মহিষের মাংসের মূল্য নির্ধারণ করে ১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ টাকা। অপরদিকে ফ্রোজেন হাস, ফ্রোজেন মিট পেস্ট, ফ্রোজেন মিট প্রিপেয়ার্ড ফুড ও ফ্রোজেন চিকেন প্রিপেয়ার্ড ফুডের দর উঠেছে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পাহাড়তলী উত্তর সরাইপাড়া লোহারপুলের মোরশেদ আকতার চৌধুরী সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ১০৫ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন জাতের সামুদ্রিক মাছের দর উঠেছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কাস্টমস দাম নির্ধারণ করে ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৩৪২ টাকা। সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারির আল আমিন এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়। অপরদিকে ১৮ হাজার ৫৯০ কেজি (সাড়ে ১৮ টন) আদার সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ দর নির্ধারণ করে ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৩৫৭ টাকা। কোতোয়ালীর দেওয়ানজী পুকুর লেইনের তপন সিংহ সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ–কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, আমরা পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলাম সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে (গতকাল) প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলামে তোলা পণ্যের অনুমোদনের বিষয়ে নিলাম কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ চার্জও পায় না।
ওআ/