মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি *** জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না—এনসিপি নেতাদের গোলাম পরওয়ার *** দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ *** ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তথ্য প্রকাশ, যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘জামায়াত ও আ. লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ *** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান *** সংখ্যালঘুদের বিপদে ফেলবেন না, সরকারকে মির্জা ফখরুল *** বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখা শ্রীলঙ্কাকে ২০২ রানে থামাল বাংলাদেশ *** সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা করার নির্দেশ *** নির্বাচনে সেনা এক লাখ, পুলিশ দেড় লাখ ও ছয় লাখ আনসার মাঠে থাকবে

দাবি ডিবি প্রধানের

‘সহিংসতার কথা স্বীকার করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা’

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:০০ অপরাহ্ন, ৮ই নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ বাসে আগুন দেওয়ার কথা জিজ্ঞাসাবাদে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিচারপতির বাসভবনে হামলা, বিআরটিসি বাসে আগুনসহ ২৮ অক্টোবরের পর থেকে চলমান অবরোধে চালানো নাশকতার দায় স্বীকার করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এমনকি এ ধরনের নাশকতা করা ঠিক হয়নি বলে তারা মন্তব্য করেছেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, প্রথমত বিএনপির যেসব কেন্দ্রীয় নেতা আমাদের কাছে আছেন তারা প্রথমে বলেছিলেন যে, নাশকতা আমাদের দলের লোকজন করে নাই। মনে হয় অন্য কেউ করেছে। এটা নিয়ে তারা সন্দিহান ছিলো। তখন আমাদের কাছে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ, স্মার্ট টিমের করা ভিডিও তাদেরকে দেখানো হয়েছে। আমরা বলেছি, আপনারা স্টেজে ছিলেন, সমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন।

এছাড়া ভিডিওতে তারা দেখেছেন, সমাবেশের দিন মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা কে কি রোল প্লে করেছেন। সুলতান সালাউদ্দিন কোথায় লাঠি নিয়ে দৌড়াচ্ছেন, রবিউল ইসলাম নয়ন কোথায় আগুন লাগাচ্ছেন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ মিন্টুর বাসা থেকে গানপাউডার আমরা পেয়েছি। এসব কিছু দেখার পরে তারাও (কেন্দ্রীয় নেতা) দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন এটা ঠিক হয় নাই।

মূল পরিকল্পনাকারী কারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা হয়তো মনে করছেন বাংলাদেশের কয়েকটা বিচ্ছিন্ন স্থানে আগুন লাগালেই ভয় পেয়ে যাবে। অথবা পুলিশ ডিমোরালাইজড হবে, এটা ঠিক না। পুলিশ বাহিনীর কাজ হচ্ছে জনগণের জাল মাল নিরাপত্তা দেওয়া। সাধারণ মানুষের চলাচলে যেনো কোনো বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা। আমাদের পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্য, ডিবি পুলিশ, থানা পুলিশ, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। ছদ্মবেশে ঘোরাফেরা করছে। বাসে যাত্রীর ছদ্মবেশে পুলিশ ঘুরছে। যদি কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে চায় তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এমন কি এইসব ঘটনা যারা জড়িত তাদেরকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেওয়া হবে। যা কয়েকদিন আগে আমাদের ডিএমপি কমিশনার ঘোষণা করেছেন। নাশকতাকারীকে ধরিয়ে দিলেই ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, অনেক সময় দেখবেন, একটা লোকের একটি বাস আছে। এটা দিয়ে তার সংসার চলে। এই বাসটিতে যখন আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, তখন তার জীবন শেষ হয়ে যায়। পরিবার নিয়ে রাস্তায় নেমে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। অতএব আমি মনে করি, সবাই মিলে সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষা করতে কাজ করতে হবে। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে। কেউ যেনো কোনোভাবে হামলা করতে না পারে। সেদিকে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের শিগগিরই আমরা গ্রেফতার করতে পারব।

এদিকে সমাবেশের দিন, হরতাল ও অবরোধে গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির লালবাগ ও মতিঝিল বিভাগ। এ বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণ করে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের ভূমিকা পালনকারী বেশ কয়েকজনকে আমরা ধরেছি। অংশগ্রহণকারী অনেকের নাম পেয়েছি। তাদের মধ্যে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সাইদ হাসান মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাসা থেকে ৮ কেজি গান পাউডার উদ্ধার করি। মিন্টু স্বীকার করেছে, বাশার এবং মাসুদকে দিয়ে এগুলো সে বানায়। রবিউল ইসলাম নয়ন ও সুলতান সালাউদ্দিন যে সহায়তা করেছে তিনি সেটিও স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা হাসান হাওলাদার, তিনি প্রথম প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গুলি নিয়ে পুলিশের ওপর মারবেল নিক্ষেপ করে ও বিআরটিসি বাসে আগুন দেয়। কবি নজরুল ইসলাম কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবুল হোসেন জুয়েল নাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশের ওপর হামলা করে এর ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। পুলিশ মার্ডারের মামলায় সে দুজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা বলেছে যে, ছাত্রদলের মুগদা থানার সাধারণ সম্পাদক রানা মিয়া পুলিশ হত্যায় অংশগ্রহণ করেছেন তাকেও আমরা গ্রেফতার করেছি। কামরুজ্জামান টুকু নিজে স্বীকার করেছে বাস পোড়ানোর কথা। হৃদয় স্বীকার করেছে সে বাংলামোটর, মৌচাক ফ্লাইওভার, কাকরাইল মোড়ে শুধু আগুন লাগিয়েছে। পেট্রোল বোমা ও ককটেল সরবরাহ করেছে রবিউল ইসলাম নয়ন।

সবার নেতা হচ্ছে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তার নেতৃত্বেই গত ২৮ অক্টোবর থেকে চলমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন, ককটেল নিক্ষেপ, পেট্রোল বোমা বা পেট্রোল লাগিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। গত ২৮ অক্টোবর যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, বিআরটিসি বাসে আগুন, পুলিশ হাসপাতালে আগুন, অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর, পুলিশ মার্ডার মামলার আসামিদের অনেকের নাম সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসেছে। পাশাপাশি গ্রেফতাররা আরো অনেকের নাম বলেছেন। তাদের ছবি পেয়েছি, তাদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে, বলেন ডিবি প্রধান হারুন।

এসকে/ 

বিএনপি ডিবি ব্যায়াম মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বাসে আগুন স্বীকার

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

ইরানের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করতে প্রস্তুত রাশিয়া

🕒 প্রকাশ: ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২৫

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি

🕒 প্রকাশ: ০২:৩২ পূর্বাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২৫

জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না—এনসিপি নেতাদের গোলাম পরওয়ার

🕒 প্রকাশ: ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২৫

দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ

🕒 প্রকাশ: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২৫

ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তথ্য প্রকাশ, যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

🕒 প্রকাশ: ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, ২১শে অক্টোবর ২০২৫

Footer Up 970x250