ছবি-সংগৃহীত
প্রথমে গান চুরি করা, তার পর আবার তাকে প্রচলিত বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া। এই দুই বিষয়েই প্রবল আপত্তি শিলাজিতের। সোশাল মিডিয়ায় জানালেন তীব্র প্রতিবাদ। ২০০৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল শিল্পীর ‘লাল মাটির সরানে’ অ্যালবাম। তা শেয়ার করেই জানালেন নিজের বক্তব্য।
ওপার বাংলার শিল্পী শিলাজিৎ মজুমদারের গান একবারের জন্যও শোনেননি, এমন বাঙালি হয়তো নেই বললেই চলে। তার অন্যতম এক জনপ্রিয় গান ‘লাল মাটির সরানে’। কিন্তু সেই গান নিয়ে চুরির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিল্পী।
একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কিছু মানুষ ‘লাল মাটির সরানে’ গানটি প্রচলিত বলে দাবি করে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিলাজিৎ। তবে এখনই কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তিনি।
আরো পড়ুন: ইমরান-পূজার নতুন মিউজিক ভিডিওতে দিঘী
সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে একটি পোস্টও দিয়েছেন শিলাজিৎ মজুমদার। লেখেন, ‘আমি অবাক হয়ে গেলাম দেখে যে কেউ কেউ এই গানটা গেয়ে প্রচলিত বলে ছাপ মেরে পাবলিশ করছে নিজের চ্যানেল থেকে। মেমোসাইড…? নাকি গুরুদেবদের কাছে শেখা, ঝেপে দাও তারপর ধরা পড়লে বলো জানতাম না।
এই গানটার মধ্যে সাঁওতালি ভাষাতে যে দু-লাইন ‘এ দুলৌর মায়না… আমা ওরা ওকারে এ দুলোর ময়না তিগুন মেসেনা’ এটুকু লিখে দিয়েছিল নরেন হাঁসদা, সেটুকুও প্রচলিত নয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেখি যদি ওনাদের শুভ বুদ্ধি কাজ করে, নইলে আমার শ্রোতারা যারা খুব ভালো করে জানেন এই গানটা আমার বাপেরও না আমার নিজের, তারাই যা বলার বলবে।
আজ থেকে প্রায় তিরিশ বছর আগে আমি গান গাইতে এসেছিলাম তার কারণ আমার গান একজন নিজের গান বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল।
গানগুলো রিলিজ হয়নি বলেই। কিন্তু রিলিজড গান, যেটার ডকুমেন্ট রয়েছে, সেটাকে যদি আমার অধিকার থেকে চেনাতে চায় তাকে তো গান চোরও বলতে পারবো না, এতো ডাকাতি? এতো সাহস? বেশ দেখা যাক।’
এসি/ আই. কে. জে/