ছবি : সংগৃহীত
শুধু বয়স্কদের নয় এখন কমবয়সীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বাড়ছে। হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, এ কারণে এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা উচিত সবারই। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিক কী করণীয় তাও জানা জরুরি। এতে নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনও বাঁচাতে পারবেন।
হৃৎপিণ্ডে রক্তের অভাবের কারণে হঠাৎ করেই হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। সাধারণ বুকে ব্যথা, অস্বস্তি বা চাপের উপসর্গ ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক নারী-পুরুষ কিংবা ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে। এর মধ্যে বদহজম বা বমি বমি ভাব, চরম ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট ও অসুস্থ বোধের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনা হলে হার্ট অ্যাটাকের রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারেন। এজন্য হার্ট অ্যাটাক হলে নিজেকে ও অন্যকে দ্রুত যেভাবে সাহায্য করবেন তা জেনে রাখুন।
অ্যাম্বুলেন্সে কল করুন
উপরের উপসর্গগুলোর মধ্যে কোনোটি অনুভব করলে বা পরিবারে কারও মধ্যে দেখলে বুঝতে হবে সেটি হার্ট অ্যাটাক। এজন্য অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স কল করা উচিত।
অনেক রোগী তাদের উপসর্গগুলো উপেক্ষা করেন। ফলে হাসপাতালে যেতে যেতেই তাদের হার্টের পেশি মারা যায়।
আরো পড়ুন : মুখে যে লক্ষণ দেখলে ধূমপায়ীরা সতর্ক হবেন
আপনি যত দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাবেন তত তাড়াতাড়ি ডাক্তাররা অবরুদ্ধ করোনারি ধমনী খুলে দিতে পারেন। এতে আপনার মৃত্যুঝুঁকি কমবে ও সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন দ্রুত।
অ্যাসপিরিন খাওয়াতে হবে
হার্ট অ্যাটাকে হতেই অ্যাম্বুলেন্সে কল করার পর ৩২৫ মিলিগ্রামের অ্যাসপিরিন ডোজ নিন। হার্ট অ্যাটাকের সময় ধমনীতে রক্ত প্রবাহকে ব্লক করে দেয়। অ্যাসপিরিন গ্রহণ করা ধমনীর রক্তের জমাট বাঁধার কিছু অংশ ভেঙে দিতে সাহায্য করতে পারে। চিকিৎসকরা অ্যাসপিরিন গিলে ফেলার পরিবর্তে চিবানোর পরামর্শ দেন, যাতে এটি দ্রুত শরীরে প্রবেশ করে।
হাসপাতালে একা যাবেন না
যদি মনে করেন আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, তাহলে নিজেই হাসপাতালে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এর পরিবর্তে অবিলম্বে একটি অ্যাম্বুলেন্স কল করুন।
রোগী অজ্ঞান হলে সিপিআর দিন
হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির যদি শ্বাস-প্রশ্বাস না থাকে বা আপনি নাড়ি খুঁজে না পান, তাহলে রক্ত প্রবাহিত রাখতে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) শুরু করুন। তার আগে অবশ্যই অ্যাম্বুলেন্সে কল করুন।
হ্যান্ডস-অনলি সিপিআরের জন্য আপনাকে ব্যক্তির বুকের মাঝখানে দ্রুত ছন্দে জোরে জোরে দ্রুত ধাক্কা দিতে হবে, যতক্ষণ না প্যারামেডিকরা আসেন ততক্ষণ পর্যন্ত। প্রতি মিনিটে প্রায় ১০০-২০০ কম্প্রেশন দিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এস/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন