শ্রদ্ধেয় বঙ্গবন্ধু,
আমার সালাম নিবেন। আমি শরীফ ইবতিহাজ ইসলাম। আমার বয়স ৭। আজকে আমি অনেক ভালো আছি কারণ আজ আমি আপনাকে কিছু লিখতে পারছি। আপনার প্রতি অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কারণ আপনার জন্য আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
যখন থেকে একটু বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের গল্পের মাধ্যমে আপনাকে চিনেছি। রিডিং পড়া শেখার পর থেকে আমি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অনেক বই পড়েছি। দিন দিন যতই বই পড়ছি আপনার সম্পর্কে জানার আগ্রহটা বেড়েই চলেছে। ছোটদের শেখ রাসেল, ছোটদের বঙ্গবন্ধু, স্মৃতির পাতায় শেখ রাসেল, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লেখা 'আমাদের ছোট রাসেল সোনা' বইটিসহ ছোটদের অনেকগুলো বই পড়েছি। আমি একবার শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেছি।
আমি বই পড়ে ১৫ই আগস্ট সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তারপর বাবার কাছে বায়না ধরে আপনার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গিয়ে ঘুরে ঘুরে নিজের চোখে সব দেখে এসেছি। আমি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরেও গিয়েছি। আমি জানি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আপনার বাড়ি। আমার খুব ইচ্ছে আমি একবার হলেও সেখানে যাবো। আমার বই পড়তে অনেক ভালো লাগে। আমার সংগ্রহে ৭০টি বই আছে। আমি আপনার লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা এই বই দুইটি কিনতে চেয়েছি। মা বলেছে আর একটু বড় হলে কিনে দিবে।
আমি যখন আপনার ৭ই মার্চের ভাষণ শুনি তখন আমিও সাথে সাথে বলতে থাকি ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'। মাঝে মাঝে অনেক আফসোস লাগে, ইস কেন যে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার জন্ম হলো না? যদি হতো তাহলে আর গল্প শুনতে হতো না, নিজেই অংশ নিতাম। আমি বড় হয়ে আপনার মতো হতে চাই। আপনার মতো সাহসী, বুদ্ধিমান ও দেশপ্রেমিক। একজন সৎ মানুষ হয়ে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমি জানি, বাঙালিরা ভাষার জন্য লড়াই করেছে। আমাদের মাতৃভাষাও বাংলা। তারপরও কি ইংরেজিতে মার্কস কম পেলে বকা শুনতে হতো আপনাকেও!
দোয়া করবেন, আমাদের মতো শিশুরা যেন আপনার আদর্শ নিয়ে বড় হতে পারি এবং দেশকে ভালোবেসে দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি।
-ইতি
আপনার স্নেহের
শরীফ ইবতিহাজ ইসলাম
আরও পড়ুন: যদি কখনো মনে পড়ে একটা চিঠি দিও
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন