শনিবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কোটা পদ্ধতি থাকা উচিত, আন্তর্জাতিকভাবেও এটি স্বীকৃত: সারা হোসেন *** আরাকান আর্মিকে সম্পৃক্ত না করে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অসম্ভব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** দলিত সম্প্রদায়ের অবস্থার পরিবর্তনে সরকারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: আনু মুহাম্মদ *** আর্সেনিকে ধান দূষণের ঝুঁকিতে, ক্যান্সারসহ স্বাস্থ্যে প্রভাব নিয়ে যা বলছে গবেষণা *** নতুন মুসলিম রাষ্ট্র গঠন নিয়ে জোর জল্পনা-কল্পনা *** ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি *** বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে: পাকিস্তান *** 'পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক' *** কবি রফিক আজাদের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটির প্রসঙ্গে যা বললেন সুলতানা কামাল *** 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নতুন নামে স্বীকৃতি পেতে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে: ইউনেস্কো

কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে দেশ থেকেই

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:০৫ অপরাহ্ন, ৩রা নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কাঞ্চনজঙ্ঘা, বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। ভারতের সিকিম ও নেপাল সীমান্তে এর চূড়া অবস্থিত যা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে। শীতের শুরুর দিকে যখন আকাশ মেঘ এবং কুয়াশামুক্ত থাকে তখন ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী এবং পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে খালি চোখেই এই পর্বতশৃঙ্গের অপরূপ রূপ দেখা যায়।

হেমন্তের নবান্নের দেশে এখন শীত আসি আসি ভাব নিয়ে আছে প্রকৃতি। প্রতিবছর শীতের শুরুতে প্রায় সব বয়সের মানুষ কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপের সৌন্দর্য উপভোগে ভিড় জমান উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। বিস্তীর্ণ চা-বাগানের সবুজ গালিচার মধ্যে সোনার আলোয় উদ্ভাসিত হয় এর নৈসর্গিক রূপ। সাধারণত সকাল সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার।

যে জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়

পঞ্চগড়ের অন্তর্গত তেঁতুলিয়া দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা। স্রোতস্বিনী মহানন্দা নদীর পাশ থেকে, বাংলাবান্ধা, বাইপাস, ভজনপুর করতোয়া সেতু, ভিতরগড় থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।

কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সেরা সময়

সাধারণত হেমন্ত আর শীতকালে দূরের মেঘমুক্ত আকাশে যেন ভেসে থাকতে দেখা যায় তুষারশুভ্র পাহাড়ের চূড়া। রোদের আলোয় চিকচিক করতে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই মোহনীয় শোভা উপভোগ করার জন্য শীতই সবচেয়ে সেরা সময়। পাহাড় চূড়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যটি সারা দিনের ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। তাই বছরের যে কোনো সময় না গিয়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়টাতে যাওয়া উত্তম। এই সময়টাতে আকাশ একদম পরিষ্কার থাকে।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস ও ট্রেন, দুই মাধ্যমেই যাওয়া যায় পঞ্চগড়। ঢাকার গাবতলী, শ্যামলী ও মিরপুর থেকে মিলবে পঞ্চগড়ের বাস। নন-এসি বাসে খরচ পড়বে জনপ্রতি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা আর এসি বাসের ভাড়া ১৩০০ থেকে ১৯০০ টাকা। পঞ্চগড় নেমে লোকাল বাসে করে যেতে হবে তেঁতুলিয়ায়। এ পথে সারাদিনই চলাচল করে বাস। ভাড়া গুনতে হবে জনপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়ার পথে এশিয়ান হাইওয়ে পড়ে। ভাগ্য ভালো হলে যাওয়ার সময় দূরের আকাশে চোখে পড়তে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য। ঢাকা থেকে সরাসরি তেঁতুলিয়ারও বাস আছে। এগুলোর ভাড়া জনপ্রতি ১ হাজার ১৫০ টাকা। ট্রেনে যেতে হলে ঢাকার কমলাপুর থেকে সরাসরি পঞ্চগড় ট্রেন আছে। শ্রেণিভেদে ট্রেন ভাড়া জনপ্রতি ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৯৪২ টাকা। পঞ্চগড় নেমে এখানকার কেন্দ্রীয় বাসস্টেশন ও চৌরঙ্গী মোড়ে পাওয়া যাবে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস। এগুলোতে করে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যাবে। মাইক্রো ও প্রাইভেট কার রিজার্ভ করতে আনুমানিক ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগতে পারে।

থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা

তেঁতুলিয়ায় আবাসিক হোটেলের নন-এসি রুম ভাড়া ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। এসি ডাবল বেডের ভাড়া পড়বে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। মহানন্দা নদীর তীরের ডাকবাংলোতে থাকা যেতে পারে। তবে তার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। এই ডাকবাংলোতে কক্ষ প্রতি ভাড়া ৪০০ টাকা। এছাড়া আছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বন বিভাগের রেস্টহাউস। এগুলোতেও থাকার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হবে। এছাড়াও এখানে আছে সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল। এখানে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় আছে নন-এসি রুম। আর ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকায় পাওয়া যাবে এসি কক্ষ।

এসকে/ 


ভারত পঞ্চগড় কাঞ্চনজঙ্ঘা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন