ছবি: সংগৃহীত
গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় শোষণ ও বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটি তাদের ত্রয়োদশ কংগ্রেসের রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে।
আজ রোববার (২১শে সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে কংগ্রেসের তৃতীয় দিনের কাউন্সিল অধিবেশনে এ রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।
তিনি জানান, রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে—রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে লেনিনীয় নীতি অনুসরণ করে পার্টিকে সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবী ধারার শক্তিশালী গণসংগঠন গড়ে তোলার পাশাপাশি নির্বাচনী সংগ্রামের জন্য সিপিবিকে দক্ষ ও উপযুক্ত করে তুলতে হবে। দেশে লুটেরা বুর্জোয়া ধারার মেরুকরণের বাইরে একটি বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে শক্তির ভারসাম্য নিয়ে আসার ঐতিহাসিক প্রয়োজন ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
রাজনৈতিক প্রস্তাবে আরও বলা হয়, লুটেরা শাসকশ্রেণিকে পরাজিত করে ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্তসহ ব্যাপক জনগণের অনুকূলে রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন না হলে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির প্রগতিমুখী মৌলিক পরিবর্তন না ঘটলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। এর জন্য সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধন করা দরকার। তাই এই পরিবর্তনকে সব সময়ের জন্য মূল কাজ ও সংগ্রাম হিসেবে গণ্য করতে হবে।
খবরটি শেয়ার করুন