অর্থসহায়তা ও গোলাবারুদের অভাবে সামরিক অপারেশন কাটছাঁটে বাধ্য হচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেকসান্দ্র তারনাভস্কি এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারনাভস্কি জানান, সামরিক বাহিনীর প্রতিটি ইউনিট গোলাবারুদের অভাবে ভুগছে এবং শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান না হলে অদূর ভবিষ্যতে কিয়েভের সামনে ‘বিরাট বিপদ’ আসবে।
জেনারেল তারনাভস্কি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কাছে গোলাবারুদের যে মজুত রয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। তাই আমরা সেগুলো বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে পুনর্বণ্টন করেছি এবং যতদূর সম্ভব রক্ষাণাত্মক সামরিক কৌশল অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছি। অর্থাৎ খুব প্রয়োজন পড়লে যেন সেগুলো ব্যবহার করা হয়—এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইউনিটগুলোকে।’
আরো পড়ুন: ভূমিকম্পের পর চীনকে সহায়তার প্রস্তাব তাইওয়ানের
গত প্রায় দু’বছরের যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য অর্জন করতে না পারায় ইউক্রেনের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং আমেরিকার দ্বন্দ্ব ও তার জেরে সহায়তার প্রবাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেন যদিও বলেছে পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় শিগগিরই দেশটি নিজেদের গোলাবারুদ নিজেরাই উৎপাদন করবে; ইউক্রেনে কারখানা স্থাপনের জন্য আমেরিকা কয়েকটি অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিও করেছে জেলেনস্কির প্রশাসন।
কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, ইউক্রেনের নিজস্ব গোলাবারুদের মজুত তলানিতে ঠেকেছে এবং বর্তমানে দেশটি পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহের ওপর প্রায় পুরোপুরি নির্ভরশীল।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনকে চলতি মাসে ৬ হাজার কোটি ডলার সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইইউ, জোটের সাম্প্রতিক বৈঠকে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে সেই সহায়তা আটকে দিয়েছে হাঙ্গেরি।
সূত্র: রয়টার্স
এইচআ/ আই. কে. জে/