ছবি: সংগৃহীত
চরম আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তান অবশেষে নিজের প্রধান সমুদ্র বন্দর বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত করাচি বন্দরের নিয়ন্ত্রণ যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে। তবে বন্দরটি বিক্রি না করে লিজ দেয়াও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কাও তার একটি বন্দরকে চীনের কাছে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় উঠে এসেছিল।
আজ বৃহস্পতিবার জাপানি গণমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া করাচি বন্দর নিয়ে এই বিস্ফোরক খবরটি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, আরব সাগরের উত্তর উপকূলে এবং ওমান উপসাগরের পূর্ব উপকূলে করাচি বন্দর পাকিস্তানের প্রধান সমুদ্র বন্দর। এর মাধ্যমে দেশটির ৬০ শতাংশ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। কিন্তু এখন চরম অর্থ সংকটে থাকা পাকিস্তান জরুরি তহবিল জোগাড়ের অংশ হিসেবে করাচিতে দেশটির প্রধান সমুদ্রবন্দরের টার্মিনালগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হস্তান্তরের চিন্তা করছে।
এর আগে গত বছর পাকিস্তানের পার্লামেন্টে জরুরি তহবিল গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। নিক্কেই এশিয়া বলছে, ওই আইন মেনেই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি করাচি বন্দর হস্তান্তরের জন্য জরুরি কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন। এর আগে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে হওয়া আন্তঃসরকার চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে। তবে বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
ফলে পাকিস্তান সরকার আরব আমিরাতের কাছে করাচি বন্দর লিজ দেবে নাকি একেবারেই বিক্রি করবে তা এখনও বুঝা যাচ্ছে না।
আরো পড়ুন: জলবিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে ব্যর্থ, কয়লার দিকে ঝুঁকেছে চীন
অবস্থানগত কারণে করাচি বন্দর আরব আমিরাতের জন্য বেশ লাভজনক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে পাকিস্তানও চলমান সংকটের মধ্যে একটু দম নেয়ার সুযোগ পাবে। দেশটির সম্প্রতি চীন থেকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। এর আগে শ্রীলঙ্কাও হাম্বানটোটা বন্দর চীনের হাতে তুলে দিয়েছিল আর্থিক সংকট সামাল দিতে।
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/